ভূগোল

বার্খান বা তির্যক বালিয়াড়ি

বার্খান বা তির্যক বালিয়াড়ি

index 9
বার্খান বা তির্যক বালিয়াড়ি

মরু অঞ্চলে বায়ুর সঞ্চয় কার্যের ফলে বিভিন্ন ধরনের বালিয়াড়ির সৃষ্টি হয় এর মধ্যে যেসব বালিয়াড়ি প্রবহমান বায়ুর গতিপথের সঙ্গে আড়াআড়ি ভাবে আধখানা চাঁদের আকারে গড়ে ওঠে , সেগুলিকে বলে বার্খান । ‘বার্খান‘ একটি তুর্কি শব্দ, এর অর্থ হল ‘কিরঘিজ স্টেপস্‌‘ অঞ্চলের বালিয়াড়ি । বার্খানের বায়ুমুখী ঢাল খাড়া হয় না , উত্তল আকৃতির হয় । তবে বিপরীত দিকের ঢাল খুব খাড়া এবং অবতল আকৃতির হয় । এগুলির উচ্চতা সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত হয় এবং এক একটি বার্খান প্রায় ৫ থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত স্থান জুড়ে অবস্থান করে । অনেক সময় সমতল স্থানে একসঙ্গে অনেকগুলি বার্খান পরপর গড়ে ওঠে । তবে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বার্খান স্থির থাকে না , বায়ুর গতিপথ অনুসারে ধীরে ধীরে সরে যায় অর্থাৎ এগুলি চলমান বালিয়াড়ি

বার্খান বা তির্যক বালিয়াড়ির বৈশিষ্ট্য

( ১ ) তির্যক বালিয়াড়ি প্রবহমান বায়ুর গতিপথের সঙ্গে আড়াআড়ি ভাবে গড়ে ওঠে । 

( ২ ) যেসব তির্যক বালিয়াড়ি আধখানা চাঁদের আকারে গড়ে ওঠে সেগুলিকে বলে বার্খান । 

( ৩ ) তির্যক বালিয়াড়ির উচ্চতা ১৫ থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত হয় এবং এক-একটি তির্যক বালিয়াড়ি প্রায় ৫ থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত স্থান জুড়ে থাকে । 

( ৪ ) এক জায়গায় পরপর অনেকগুলি তির্যক বালিয়াড়ি গড়ে উঠতে পারে । 

( ৫ ) তির্যক বালিয়াড়ি সাধারণত চলমান বা ভ্রাম্যমাণ হয় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!