রাঢ়ী উপভাষার ধ্বনিতাত্ত্বিক ও ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য
রাঢ়ী উপভাষার ধ্বনিতাত্ত্বিক ও ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য
মধ্য-পশ্চিমবঙ্গ তথা রাঢ় অঞ্চলের উপভাষা হল রাঢ়ী ।
রাঢ়ী উপভাষার ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য
⏩ পদের শেষে অঘােষ ধ্বনির ঘােষবৎ উচ্চারণ ; যেমন — শাক > শাগ , উপকার > উপগার ইত্যাদি ।
⏩ ‘ ন ’ ও ‘ ল ’ ধ্বনির বিপর্যয় ; যেমন — নয় > লয় , লাউ > নাউ , নৌকো > লৌকো ইত্যাদি ।
⏩ অপিনিহিতি প্রয়ােগ লােপ পেয়ে তার জায়গায় অভিশ্রুতি আর স্বরসংগতির প্রয়ােগ ; যেমন – করিয়া > কইর্যা > করে , আজি > আইজ > আজ ইত্যাদি ।
রাঢ়ী উপভাষার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য
⏩ অতীতে উত্তম পুরুষ – লুম , -নু , -লম্ – এর প্রয়ােগ ছিল আকছার ; যেমন — করলুম , পড়নু , দেখলম ইত্যাদি ।
⏩ অনেকসময় বহুবচন বােঝাতে ‘ দের ’ প্রয়ােগ লক্ষ করা যায় ; যেমন — লােকেদের বাড়ি , ছেলেদের বই ।
⏩ গৌণকর্মে ‘ কে ’ বিভক্তির প্রয়ােগ ; যেমন — যদুকে বইটা পড়তে দেওয়া হয়েছে ।