সাধু ভাষা ও সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য
সাধু ভাষা ও সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য

‘ সাধু ’ বলতে বোঝাই পণ্ডিত বা শিষ্টজনকে । পণ্ডিত বা শিষ্টাজনের রচিত ভাষা হলো সাধু ভাষা । বাংলা গদ্য-সাহিত্যে ব্যবহৃত সংস্কৃত শব্দবহুল সুষ্ঠু , মার্জিত , সর্বজনবােধ্য , অথচ নিয়মবদ্ধ ও কৃত্রিম ভাষারূপ হল সাধু ভাষা ( Standard Literary ) ।
সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য
⏩ তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের প্রাধান্য , যেমন — গলদঘর্ম , নিরীক্ষণ , অন্তঃকরণ , চৈতন্য সম্পাদন প্রভৃতি অসংখ্য শব্দ ।
⏩ সন্ধি ও সমাসবদ্ধ দীর্ঘাকৃতি পদের প্রয়োগ , যেমন — চতুর্থাংশ , সংবাদপ্রাপ্তি , অস্থিরচিত্ত প্রভৃতি এরকম শব্দের সংখ্যাও অনেক ।
⏩ অসমাপিকা ক্রিয়ার পূর্ণাঙ্গরূপ , যেমন – করিলে , করিয়া , বলিয়া , হইয়া , তুলিয়া প্রভৃতি । সমাপিকা ক্রিয়ার পূর্ণাঙ্গরূপ , যেমন — জন্মিল , হইলেন , করিলেন , জন্মিবেন , করিয়াছিলেন , করিতেছে , চলিতেছে ইত্যাদি ।
⏩ সর্বনাম পদের পূর্ণাঙ্গরূপ , যেমন — তাহারা , তাঁহারা , যাঁহাদিগের ইত্যাদি ।
⏩ অনুসর্গের পূর্ণাঙ্গরূপ , যেমন — হইতে ।
⏩ বাক্য গঠনে ও পদবিন্যাসে নিয়মবদ্ধ রীতির অনুসরণ , যেমন — কর্তা-কর্মের ক্রমবিন্যাসের পর বাক্যের শেষে ক্রিয়াপদের ব্যবহার ইত্যাদি ।
⏩ ভাষায় গাম্ভীর্য ও আভিজাত্যের , প্রকাশ ভাষা মার্জিত ও সর্বজনবােধ্য , কিন্তু বহুলাংশে কৃত্রিম ।