অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কাকে বলে
অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কাকে বলে

মধ্যগতির শেষের দিকে এবং নিম্ন গতিতে নদীর প্রবাহপথে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের সৃষ্টি হয় । এই সময় নদীর গতিবেগ খুব কম থাকে বলে সামান্য কোনাে বাধা পেলেই নদী এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয় । নদীর আঁকাবাঁকা গতিপথকে বলে মিয়েন্ডার । নদী যখন এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয় তখন প্রবাহপথের অন্তঃবাঁকের তুলনায় বহিঃবাঁকে গতিবেগ বেশি থাকে । তাই বহিঃবাঁকে ক্ষয়কার্য চলে , কিন্তু অন্তঃবাঁকে পলি , কাদা ইত্যাদি সঞ্চিত হয় । নদী যখন খুব বেশি এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয় , দুই বাঁক বা জলধারার মধ্যবর্তী ভূমি ( বহিঃবাক ক্ষয় প্রক্রিয়ার জন্য ) কালক্রমে সম্পূর্ণ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং তার ফলে তখন নদীর ওই দুটি বাঁক বা জলধারার সংযুক্তি ঘটে , অর্থাৎ বাঁকা পথ ছেড়ে নদী তখন সােজা পথে প্রবাহিত হয় এবং পরিত্যক্ত বাঁকটি হ্রদে পরিণত হয় । এই হ্রদ দেখতে ঘােড়ার খুরের মতাে হয় বলে এর নাম অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ । উদাহরণ — নিম্নগতিতে গঙ্গা এবং তার শাখানদীগুলির গতিপথে এই ধরনের অনেক অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায় ।