নদীর নিম্ন গতিতে সৃষ্ট ভূমিরূপ
Contents
নদীর নিম্ন গতিতে সৃষ্ট ভূমিরূপ

বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতিতে নদীর প্রধান কাজ হয় সঞ্চয় বা অবক্ষেপণ । তবে এই অংশে নদী অল্প পরিমাণে বহন করে । বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতিতে নদীর কার্যের ফলে বিভিন্ন প্রকার ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় , এগুলি নীচে আলােচনা করা হল :
প্রশস্ত এবং অগভীর নদী উপত্যকা
বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্ন গতিতে নদীর স্রোতের বেগ খুব কমে যায় বলে জলের সঙ্গে বাহিত পলি , বালি প্রভৃতি বেশি করে নদীর বুকে সঞ্চিত হতে থাকে । এর ফলে নদীখাত অগভীর এবং খুব প্রশস্ত হয় ।
প্লাবনভূমি , স্বাভাবিক বাঁধ , নদীর চর , অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ
নিম্ন গতিতে নদীর প্রধান কাজ অবক্ষেপণ । তাই মধ্যগতির মতাে এই অংশেও কোথাও কোথাও নদীর দুপাশে বিস্তৃত প্লাবনভূমি , সুউচ্চ স্বাভাবিক বাঁধ , বড়াে বড়াে নদীর চর এবং স্থান বিশেষে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ সৃষ্টি হয় ।
বদ্বীপ
নদীর জলের সঙ্গে বাহিত পলি , বালি প্রভৃতি মােহানার কাছে সমুদ্রের লবণাক্ত জলের সংস্পর্শে এসে সহজে জোটবদ্ধ হয় এবং নদীর বুকে বা অগভীর সমুদ্রে সেগুলি জমা হয়ে নতুন নতুন ভূভাগ বা দ্বীপ সৃষ্টি করে । এইসব ভূভাগ বা দ্বীপের আকৃতি গ্রিক অক্ষর ( Δ ) ডেল্টা বা বাংলা অক্ষর মাত্রাহীন ‘ ব ’ – এর মতাে হয় বলে এগুলিকে ডেল্টা বা বদ্বীপ বলে । গঙ্গা নদীর মােহনায় গড়ে ওঠা বদ্বীপ বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ ।
প্রশস্ত নদী মােহনা বা খাড়ি
মােহনার কাছে নদী প্রবল বেগে প্রবাহিত হলে বা সমুদ্রস্রোতের অপসারণ ক্ষমতা খুব বেশি হলে পলি , কাদা প্রভৃতি স্রোতের সঙ্গে দূর সমুদ্রে চলে যায় । ফলে নদীতে কোনাে বদ্বীপের সৃষ্টি হয় না এবং নদী মােহনা খুব প্রশস্ত হয় । প্রশস্ত নদী মােহনাকে বলে খাড়ি । আমাজন নদীর খাড়ি খুবই প্রশস্ত ।