ভূমিকম্প কাকে বলে
Contents
ভূমিকম্প কাকে বলে

ভূত্বকের কোনাে কোনাে অংশ কোনাে প্রাকৃতিক কারণে ক্ষণিকের জন্য হঠাৎ কেঁপে উঠলে — সেই কম্পনকেই বলে ভূমিকম্প । এই কম্পন সাধারণত খুব অল্পক্ষণ থাকে ।
ভূমিকম্পের কেন্দ্র কাকে বলে
ভূত্বকের অভ্যন্তরে বা ভূগর্ভে যেখানে কম্পনের উৎপত্তি হয় , তাকে বলে ভূমিকম্পের উৎসস্থল বা ভূমিকম্পের কেন্দ্র । এই কেন্দ্র একটি বিন্দুমাত্র নয় , বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে থাকে । ভূমিকম্পের কেন্দ্র সাধারণত ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬ কিলােমিটার গভীরতার মধ্যে থাকে । তবে অনেক ক্ষেত্রে এই গভীরতা ৩০-৩৫ কিলােমিটার বা তারও বেশি হতে পারে ।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র কাকে বলে
ভূপৃষ্ঠের যে স্থান , ভূগর্ভে অবস্থিত ভূমিকম্প কেন্দ্রের ঠিক সােজাসুজি ওপরে থাকে , সেই স্থানকে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র বলে । ভূমিকম্পের কেন্দ্র ( Epicentre ) থেকে ভূকম্প তরঙ্গ ( Seismic waves ) প্রথম এই উপকেন্দ্রেই পৌছায় । এজন্য ভূমিকম্পের তীব্রতা উপকেন্দ্রেই সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয় এবং উপকেন্দ্র থেকে চারদিকে এই তীব্রতা ক্রমশ কমতে থাকে ।
ভূমিকম্প তরঙ্গ কাকে বলে
শিলাস্তরে পীড়নের ( stress ) ফলে উৎপন্ন শক্তি তরঙ্গ বা ঢেউয়ের মতাে ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে । শক্তির এই তরঙ্গকেই বলে ভূমিকম্পের তরঙ্গ । পুকুরের জলে একটি পাথরের টুকরাে পড়লে সেখান থেকে যেমন চক্রাকারে ঢেউ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে , তেমনি ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকেও ঢেউয়ের আকারে তরঙ্গ চারদিকে ছড়িয়ে যায় এবং কেন্দ্র থেকে যত দূরে যায় , তরঙ্গের তীব্রতাও ক্রমশ কমতে থাকে ।
রিখটার স্কেল কাকে বলে
ভূমিকম্পের তীব্রতা নির্ণায়ক একটি স্কেল বা পরিমাপ ব্যবস্থাকে বলে রিখটার স্কেল । ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সি. এফ. রিখটার এই পরিমাপ ব্যবস্থা বা স্কেলের উদ্ভাবক । তাঁর নামানুসারে একে বলা হয় রিখটার স্কেল । সিসমোগ্রাফ বা ভূমিকম্প নির্ণয়কারী যন্ত্রের ওপর এই স্কেল বসানাে থাকে এবং এতে ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপের জন্য ১০ টি ভাগ ( ১ থেকে ১০ ) থাকে । এই স্কেল অনুসারে সামান্য বা মৃদু কম্পনের মাপ ১.৫ থেকে ২ , আর সবকিছু ধ্বংসকারী ভূমিকম্পের মাপ ৮.৫ থেকে ৯ ।