ইতিহাস

মুসোলিনির পররাষ্ট্রনীতি

মুসোলিনির পররাষ্ট্রনীতি

images
বেনিতো মুসোলিনি

ইতালির ফ্যাসিস্ট নেতা মুসােলিনি ছিলেন নগ্ন সাম্রাজ্যবাদী শাসক । মুসােলিনির পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য ছিল — ইতালিকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এক শ্রেষ্ঠ শক্তিরূপে প্রতিষ্ঠা করা । তিনি চেয়েছিলেন ইতালিকে এক মহান রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করে তাকে সমীহযােগ্য করে তােলা ( To make Italy great , respected and fearsome ) । তিনি বলতেন সাম্রাজ্য বিস্তার একটি নৈতিক কর্তব্য , একটি জীবনী শক্তির প্রকাশ । 

গতিপ্রকৃতি 

1. ইতালির ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য বাসস্থান ও খাদ্য , শিল্পের জন্য কাঁচামাল ও উৎপাদিত সামগ্রীর বাজার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য মুসােলিনি আবিসিনিয়ার প্রতি দৃষ্টি দেন এবং ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি আবিসিনিয়া দখল করেন । 

2. জাতিসংঘ ইতালির পররাজ্যগ্রাস নীতির বিরােধিতা করলে ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে ইতালি জাতিসংঘ ত্যাগ করে । 

3. স্পেনের গৃহযুদ্ধে মুসােলিনি হিটলারের সঙ্গে যােগ দিয়ে সেই দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন । 

4. মুসােলিনি ও হিটলার উভয়েই ছিলেন সাম্রাজ্যবাদী ও কমিউনিস্ট বিরােধী । ফলে ইতালি , জার্মানি ও জাপানের মধ্যে ‘ অ্যান্টি কমিন্টার্ন প্যাক্ট ’ স্বাক্ষরিত হয় । এরা অক্ষশক্তি নামে পরিচিত হয় । 

5. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মুসােলিনি জার্মানির পক্ষে যােগ দেন । 

মন্তব্য 

মুসােলিনি তাঁর বিদেশনীতিতে ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন কায়েম করেছিলেন । প্রকৃতপক্ষে তাঁর পররাষ্ট্রনীতিতে কোনাে পরিকল্পিত ভাবনার নিদর্শন মেলে না । এক্ষেত্রে তিনি সামরিক শক্তির সাহায্য নিয়ে ইতালিকে এক শক্তিশালী রাষ্ট্ররূপে গড়ে তােলার পাশাপাশি ইতালিকে ভূমধ্যসাগরের সর্বপ্রধান শক্তিরূপে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন । আর আফ্রিকার আবিসিনিয়া অঞ্চলে ইতালির উপনিবেশ ও প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিলেন । এ প্রসঙ্গে মারিস রবসন  বলেছেন , বৃহত্তর রাষ্ট্র গড়ে তােলার লক্ষ্য নিয়ে ফ্যাসিবাদী ইতালি ভার্সাই সন্ধির মূল উদ্দেশ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চেয়েছিল ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!