ভৌত বিজ্ঞান

আইসোটোপ বা সমস্থানিক

Contents

আইসোটোপ বা সমস্থানিক

একই মৌলের বিভিন্ন পরমাণু যাদের পারমাণবিক সংখ্যা একই কিন্তু নিউক্লিয়াসে নিউট্রন সংখ্যার ভিন্নতার জন্য যাদের পারমাণবিক ভর অর্থাৎ ভর সংখ্যা পৃথক হয় , তাদের পরস্পরের আইসোটোপ বা সমস্থানিক বলে ।

IMG ২০২০১০১৬ ১৮৫৪৩০
আইসোটোপ বা সমস্থানিক

আইসোটোপ এর উদাহরণ :

হাইড্রোজেন বা প্রোটিয়াম ( ¹H1 ) ,

ডিউটেরিয়াম ( ²H1 ) ,

টিট্রিয়াম ( ³H1 ) হাইড্রোজেনের তিনটি আইসোটোপ ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , 1913 খ্রিস্টাব্দে স্কটিশ ডাক্তার মার্গারেট টড ব্রিটিশ রসায়নবিদ ফ্রেডরিক সডির সঙ্গে কথােপকথনের সময় আইসােটোপ নামটি প্রবর্তন করেন ।

আইসোটোপের ব্যবহার

1. ক্যানসার রােগের চিকিৎসায় আয়ােডিন এবং কোবাল্ট আইসােটোপ ব্যবহৃত হয় । 

2. কার্বন -14 আইসােটোপের সাহায্যে পৃথিবীর বয়স , বিভিন্ন পাথর , গাছ ইত্যাদির বয়স নির্ণয় করা হয় । 

আইসোটোপ বা সমস্থানিক গুলির রাসায়নিক ধর্ম অভিন্ন হওয়ার কারণ 

মৌলের রাসায়নিক ধর্ম নির্ভর করে ওই মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা অর্থাৎ নিউক্লিয়াসে প্রােটন সংখ্যা বা নিউক্লিয়াস বহির্ভূত ইলেকট্রন সংখ্যা এবং তাদের বিন্যাসের ওপর । একই মৌলের সমস্থানিক গুলির পারমাণবিক সংখ্যা একই হওয়ার জন্য এদের নিউক্লিয়াসে একই সংখ্যক প্রােটন থাকে এবং নিউক্লিয়াস বহির্ভূত ইলেকট্রন গুলির বিন্যাসও একই রকম হয় । সেজন্য সমস্থানিক বা আইসােটোপ গুলির রাসায়নিক ধর্ম অভিন্ন হয় । যেহেতু কোনাে মৌলের আইসােটোপ গুলির পারমাণবিক সংখ্যা একই থাকে , সেজন্য পর্যায় সারণিতে তাদের একই স্থানে রাখা হয় । 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!