ভারত ছাড়ো আন্দোলনে মাতঙ্গিনী হাজরার ভূমিকা
ভারত ছাড়ো আন্দোলনে মাতঙ্গিনী হাজরার ভূমিকা

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহাযজ্ঞে যেসব জাতীয়তাবাদী মহাসৈনিক নির্ভীক আত্মবলিদানে অমর হয়ে আছেন পরম গান্ধীবাদী সত্যাগ্রহী মাতঙ্গিনি হাজরা নিঃসন্দেহে তাঁদের অন্যতম । বাংলা দেশের মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার ৭৩ বছর বয়স্কা ওই বীরাঙ্গনা গান্ধীবুড়ি নামেই সমধিক পরিচিত ।
বীরত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত
গান্ধীজীর আহ্বানে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ‘ ভারত ছাড়াে ’ আন্দোলন যখন কালবৈশাখীর ঝড়ের মতাে সারা ভারতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাতঙ্গিনিও তখন ওই আন্দোলনে শামিল হন । ২৯ সেপ্টেম্বর ( ১৯৪২ খ্রি. ) তাঁর নেতৃত্বে কুড়ি হাজার মানুষের এক মহামিছিল বিভিন্ন দিক থেকে তমলুক থানা ও আদালত ভবন দখল করার জন্য অগ্রসর হয় । ওই সময় পুলিশের বর্বর গুলিবর্ষণে নিরস্ত্র মাতঙ্গিনি শহিদের মৃত্যু বরণ করেন । পর পর গুলির আঘাত সত্ত্বেও দৃঢ়মুষ্টিতে জাতীয় পতাকা উর্ধ্বে তুলে ধরে তিনি মিছিলের পুরােভাগে অগ্রসর হচ্ছিলেন । এমন সময় আরও একটা গুলি তাঁর বুকে লাগলে তিনি বন্দেমাতরম্ ধ্বনি উচ্চারণ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন । যে অসীম সাহস , অফুরন্ত মনােবল ও গভীর স্বদেশপ্রেমের পরিচয় বৃদ্ধা মাতঙ্গিনি দেখিয়ে গেছেন , তার তুলনা বিরল ।
উপসংহার
মাতঙ্গিনি হাজরা যেভাবে ভারতমাতার পরাধীনতার অমনিশা কাটানাের লক্ষ্যে আত্মবিসর্জন দিয়েছিলেন তা পরবর্তী প্রজন্মের নারীদের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিল ।