নরমপন্থী ও চরমপন্থী জাতীয়তাবাদের পার্থক্য
নরমপন্থী ও চরমপন্থী জাতীয়তাবাদের পার্থক্য
নরমপন্থী
কংগ্রেসের নরমপন্থীরা ব্রিটিশ সরকারের ন্যায় বােধ , শাসনতান্ত্রিক নিয়ম কানুন ও শুভবুদ্ধির ওপর আস্থাশীল ছিলেন । তাঁরা বিশ্বাস করতেন যে , ব্রিটিশ সরকারের কাছে সঠিকভাবে দাবি জানাতে পারলে সরকার ভারতীয়দের দাবি মেনে নেবে । তাই জাতীয় কংগ্রেসের নরমপন্থী নেতারা কোনােরূপ সক্রিয় আন্দোলনের পরিবর্তে সমঝােতার নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন । তাঁরা নিয়মতান্ত্রিক পথে আবেদন নিবেদন নীতির মাধ্যমে দাবি আদায়ের পক্ষপাতী ছিলেন । নরমপন্থীরা স্বায়ত্তশাসনাধিকার আদায়ের নীতি গ্রহণ করে ছিলেন । দাদাভাই নওরােজি , গােপালকৃষ্ণ গােখলে , সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ নেতা ছিলেন নরমপন্থী ।
চরমপন্থী
একদল তরুণ কংগ্রেস নেতা আবেদন নিবেদনের নম্র নীতির প্রতি আস্থাশীল ছিলেন না । নরমপন্থী নেতাদের দাবিদাওয়ার প্রতি ইংরেজ সরকারের উদাসীন মনােভাব এইসব তরুণ কংগ্রেসিদের হতাশ করে । এঁরা সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় প্রতিরােধ আন্দোলন দ্বারা ইংরেজ সরকারকে জব্দ করার পক্ষপাতী ছিলেন । বালগঙ্গাধর তিলক , লালা লাজপত রায় , বিপিনচন্দ্র পাল প্রমুখ ছিলেন অগ্রণী চরমপন্থী নেতা । চরমপন্থীদের আদর্শ ছিল ব্রিটিশ শাসনের নাগপাশ ছিন্ন করে পূর্ণ স্বরাজ অর্জন । তিলক এ ব্যাপারে বলেছিলেন , বিদেশি শাসনের সবথেকে শ্রেষ্ঠ রুপ অপেক্ষা স্বরাজ মঙ্গলজনক ( “ Swaraj is better than the best form of a foreign rule ” )।
Nice website 👍
ভালো
আমাকে এই
Good 👍
বা খুব সুন্দর
Good 👍
খুব ভালো
খুব ভালো
এ
এটাই তো