ভৌত বিজ্ঞান

আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি বা SI পদ্ধতি

Contents

আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি বা SI পদ্ধতি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক রাশি প্রকাশের ক্ষেত্রে সমতা আনার জন্য বিজ্ঞানীগণ 1960 সালে সর্বগ্রহণযােগ্য একটি পদ্ধতি প্রচলন করেন । এই পদ্ধতিটি SI বা আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি ( System International d ‘ Unites International system of units ) নামে পরিচিত । এই পদ্ধতিতে 7 টি রাশির একককে মূল এককরূপে ধরা হয়েছে ।

001716kalerkanthot 22 2018 04 19. 1
SI একক পদ্ধতি

বিভিন্ন SI এককগুলির নাম ও সংকেত

দৈর্ঘ্যের একক — মিটার ( m )

ভরের একক — কিলােগ্রাম ( kg )

সময়ের একক — সেকেন্ড ( s )

তড়িৎপ্রবাহের একক – অ্যামপিয়ার ( A )

উষ্ণতার একক — কেলভিন ( K )

দীপন প্রাবল্যের একক — ক্যান্ডেলা ( cd )

পদার্থের পরিমাণের একক — মােল ( mol )

এছাড়া আরও দুটি রাশির একককে মৌলিক একক হিসেবে ধরা হয় । এগুলি হল : —কোণ পরিমাপের একক — রেডিয়ান ( rad ) এবং ঘন কোণের একক স্টেরেডিয়ান ।

SI – তে কয়েকটি ভৌত রাশির ( লব্ধ ) একক

আয়তন — ঘনমিটার ( m³ )

ঘনত্ব — কিলােগ্রাম / মিটার³ ( kgm –³ )

বেগ — মিটার / সেকেন্ড ( ms–¹ )

বল — নিউটন ( N )

শক্তি — জুল ( J )

ক্ষমতা — ওয়াট ( W )

চাপ — পাস্কাল বা নিউটন / মি² ( Pa বা Nm–² )

তড়িদাধান — কুলম্ব ( C )

তড়িৎবিভব — ভােল্ট ( V )

রােধ — ওহম ( Ω )

কম্পাঙ্ক — হার্জ ( Hz )

SI একক ব্যবহারের কয়েকটি নিয়ম

1. কোনাে একককে সর্বদা একবচনে ব্যবহার করতে হবে । যেমন — kg কিন্তু kgs নয় ।
2. এককের প্রতীকের ( চিহ্নের ) পরে ফুলস্টপ দিতে হবে না । যেমন — km কিন্তু km. নয় ।
3. উষ্ণতার একক কেলভিনে ডিগ্রি চিহ্ন থাকবে না । যেমন — 15 K কিন্তু 15°K নয় ।
4. ভাগ বােঝাতে /( per ) চিহ্ন একবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না । যেমন — J kg–¹ K–¹ অথবা J/kg-K , কিন্তু J/kg/K নয় ।
5. বিজ্ঞানীদের নামানুসারে প্রাপ্ত এককগুলির প্রতীকে প্রথম অক্ষরটি বড়াে হরফে হবে এবং অন্য প্রতীকে শুধু ছােটো হরফ ব্যবহৃত হবে । যেমন — নিউটন ( N ) , অ্যামপিয়ার ( A ) , জুল ( J ) , কিন্তু কিলােগ্রাম ( kg ) , ক্যালােরি ( cal ) ইত্যাদি ।

2 thoughts on “আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি বা SI পদ্ধতি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!