ইতিহাস

জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি আলোচনা করো

Contents

জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি আলোচনা করো

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বীভৎসতা , নারকীয় হত্যাকাণ্ড বিশ্ববাসীর মনে হিংসার পরিবর্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রয়ােজনীয়তা অনুভব করায় । প্রচুর প্রাণীসম্পদ ও মানসম্পদের ক্ষয়ক্ষতি দেখে মানুষ শিক্ষা নেয় যে ভবিষ্যতে যেন এরকম যুদ্ধ না ঘটে । প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর উড্রো উইলসনই প্রথম যুদ্ধমুক্ত পৃথিবী গড়ার স্বপ্নে ‘ চোদ্দো দফা নীতি ’ ( ১৯১৮ খ্রি. ৮ জানুয়ারি ) ঘোষণা করেন । প্যারিস শান্তি সম্মেলনে তাঁর এই নীতিগুলির ভিত্তিতেই অনুমােদিত হয় লিগ অব নেশনস বা জাতিসংঘের খসড়া চুক্তিপত্রটি ( ১৯১৯ খ্রি. ২৮ এপ্রিল ) । ১৯২০ খ্রি. ভার্সাই চুক্তির অঙ্গ হিসেবে লিগের প্রতিষ্ঠা হয় । লিগের সংবিধানে বলা হয় — লিগের লক্ষ্য হল শান্তি রক্ষা করা এবং সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে সহযােগিতার পরিবেশ গড়ে তােলা । বিশ্বকে চিরদিনের জন্য যুদ্ধমুক্ত রাখাই ছিল জাতিসংঘ বা লিগ প্রতিষ্ঠার মুখ্য উদ্দেশ্য । এই উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যে পৌঁছােতে এর চুক্তিপত্রে ( কভেনান্ট ) স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রগুলি জানায় ,

index 1
লিগ অব নেশনস

নিরাপত্তা রক্ষা

আপস – মীমাংসা ও পারস্পরিক সহযােগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান করে বিশ্বে নিরাপত্তা বজায় রাখা ।

পারস্পরিক সম্পর্ক গঠন

ন্যায় ও সততার ভিত্তিতে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ ।

আন্তর্জাতিকতাকে মান্য করা

আন্তর্জাতিক আইন , বিধিনিষেধ , চুক্তি বা সন্ধির শর্তাদি মেনে চলা ।

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা

আইন ভঙ্গকারী বা আক্রমণকারী দেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরােধ , এমনকি প্রয়ােজন হলে সম্মিলিতভাবে বলপ্রয়ােগ করে বিশ্বশান্তিকে সুনিশ্চিত করা ।

বিশ্ববাসীর সেবা ও কল্যাণসাধন

বিশ্বমানবের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণসাধনের লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গঠন ; অবহেলিত নারী , শিশু ও শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা ; সেবাকার্যে আত্মনিয়ােড করা ইত্যাদি হবে জাতিসংঘের উদ্দেশ্য । 

মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন

লিগ সনদের দশম শর্তে বলা হয়েছে যে দুই বা তার বেশি রাষ্ট্রের মধ্যে বিবাদ বাঁধলে তাদের মীমাংসার জন্য লিগ মধ্যস্থতা করবে । এই মধ্যস্থতা চলাকালীন কমপক্ষে তিন মাস বিবাদকারী রাষ্ট্রগুলি নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে লিপ্ত হতে পারবে না ।

গােপন চুক্তির বিরােধিতা

জাতিসংঘের চুক্তিপত্রের বিরােধী কোনাে চুক্তি সম্পাদন করা যাবে না বলে সদস্য রাষ্ট্রগুলি অঙ্গীকারবদ্ধ হয় । সকল গােপন চুক্তিকে জাতিসংঘ বেআইনি বলে ঘোষণা করে।

প্যারিস সন্ধির শর্ত পালন

প্যারিস শান্তি সম্মেলনে ( ১৯১৯-২০ খ্রি. ) যে সকল শান্তি চুক্তিগুলি স্বাক্ষরিত হয় তার শর্তগুলি রূপায়ণের দায়িত্ব বর্তায় জাতিসংঘের ওপর । যেমন — সার উপত্যকা অঞ্চলের শাসন পরিচালনা , ডানজিগ বন্দরের তত্ত্বাবধান , সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষা ইত্যাদি ।

2 thoughts on “জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি আলোচনা করো

  • Tapas barik

    It is best for me.

    Reply
  • tapas barik

    sir, ami ditio bishya yudhya er prabhab jantd chai.

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!