ওশিয়ানিয়া মহাদেশের অবস্থান/আয়তন ও সীমা
Contents
ওশিয়ানিয়া মহাদেশের অবস্থান/আয়তন ও সীমা
ওশিয়ানিয়া ( Oceania ) শব্দটি ইংরেজি , ‘ ওশান ’ ( Ocean ) শব্দ থেকে এসেছে । ‘ ওশান ’ শব্দের অর্থ মহাসাগর । সুতরাং ওশিয়ানিয়া বলতে মহাসাগরে অবস্থিত কোনাে একটি মহাদেশকে বােঝায় । ওশিয়ানিয়ার আর এক নাম অস্ট্রেলেশিয়া । অস্ট্রেলেশিয়া শব্দটি ‘ অস্ট্রাল ’ ও ‘ এশিয়া ‘ — এই দুটি শব্দের মিলনে উদ্ভব হয়েছে । ‘ অস্ট্রাল ’ শব্দটির অর্থ দক্ষিণ । সুতরাং অস্ট্রেলেশিয়া বলতে এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে বা দক্ষিণ গােলার্ধে অবস্থিত কোনাে স্থল ভূ – খণ্ডকে বােঝায় ।

এশিয়ার দক্ষিণ – পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে যে অসংখ্য ছােটো বড়াে দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ গঠিত হয়েছে তাদের সম্মিলিত নাম ওশিয়ানিয়া মহাদেশ । ওশিয়ানিয়ার অন্তর্গত দ্বীপগুলিকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায় । যথা —
- মেলানেশিয়া ,
- অস্ট্রেলিয়া ও তাসমানিয়া ,
- নিউজিল্যান্ড ,
- পলিনেশিয়া এবং
- মাইক্রোনেশিয়া ।
দ্বীপগুলির মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সবচেয়ে বড়াে । অস্ট্রেলিয়া দ্বীপ এত বড়াে যে একে ‘ দ্বীপ মহাদেশ ’ বলা হয় । আবার বিষুবরেখার দক্ষিণে বলে একে দক্ষিণের দেশও বলা হয় । ১৭৭০ সালে বিখ্যাত নাবিক ক্যাপ্টেন জেমস কুক এই মহাদেশের কিছু অংশ আবিষ্কার করার পর থেকেই ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীরা এখানে বসবাস করতে শুরু করে ।
ওশিয়ানিয়া মহাদেশের অবস্থান
এশিয়ার দক্ষিণ – পূর্বে এই মহাদেশটি অবস্থিত অর্থাৎ নিরক্ষরেখার দক্ষিণে সম্পূর্ণ দক্ষিণ গােলার্ধে অবস্থিত । মহাদেশটি প্রায় পশ্চিমে ১১৪° পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে পূর্বে ১৩৫° পশ্চিম দ্রাঘিমা এবং উত্তরে ২৮° উত্তর অক্ষাংশ থেকে দক্ষিণে ৪৭° দক্ষিণ অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত । পূর্ব – পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৮৪০ কিমি , এবং উত্তর – দক্ষিণে বিস্তার ৩২০০ কি. মি. । পূর্ব – পশ্চিমে সময়ের পার্থক্য প্রায় ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ।
ওশিয়ানিয়া মহাদেশের আয়তন
প্রথিবীর মহাদেশগুলির মধ্যে ওশিয়ানিয়া সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম । এই মহাদেশটির ছয়টি দ্বীপের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া আয়তন ৭৬,৮৬,৯০০ বর্গ কি. মি., আর নিউজিল্যান্ডের আয়তন ২,৬৮,৬৭৬ বর্গ কি. মি. । অন্যান্য দ্বীপগুলির মােট আয়তন প্রায় ৫৭ লক্ষ বর্গ কি. মি. ।
ওশিয়ানিয়া মহাদেশের সীমা
মহাদেশটির উত্তর ও পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগর , দক্ষিণে কুমেরু মহাসাগর এবং পশ্চিমে ভারত মহাসাগর অবস্থিত ।