পৃথিবীতে দিন রাত্রি কিভাবে হয় আলোচনা করো
পৃথিবীতে দিন রাত্রি কিভাবে হয় আলোচনা করো
পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য ভূপৃষ্ঠে দিনরাত্রি হয়। পৃথিবীর আকৃতি গোলাকার এবং সূর্যের আলোতেই পৃথিবী আলোকিত ও উত্তপ্ত হয়। আবর্তনের সময় পৃথিবীর যে অর্ধাংশ সূর্যের দিকে থাকে সেখানে সূর্যের আলো পড়ে, ফলে সেখানে হয় দিন। বিপরীত দিকের অর্ধাংশে সূর্যের আলো পড়ে না, ফলে সেখানে হয় রাত্রি।

দিনরাত্রির বিভিন্ন অবস্থা
পৃথিবী গোলাকার বলে সূর্যের সামনে আবর্তন করার সময় ভূপৃষ্ঠে দিনরাত্রির বিভিন্ন অবস্থা, যেমন 一
- প্রভাত-সন্ধ্যা,
- উষা-গোধূলি,
- মধ্যাহ্ন-মধ্যরাত্রি ।
ছায়াবৃত্ত
দিনরাত্রির বিভিন্ন অবস্থা সৃষ্টির ক্ষেত্রে ছায়াবৃত্তের বিশেষ ভূমিকা আছে। আবর্তনের সময় পৃথিবীর যে অর্ধাংশ সূর্যের দিকে থাকে সেখানে হয় দিন এবং বিপরীত দিকের অর্ধাংশে হয় রাত্রি। এই দিন ও রাত্রির মাঝামাঝি জায়গায় আলো ও অন্ধকার যে বৃত্তাকার সীমারেখায় মিলিত হয়, তাকে বলে ছায়াবৃত্ত।
প্রভাত ও সন্ধ্যা
আবর্তনের জন্য ভূপৃষ্ঠের কোন স্থান যখন অন্ধকার থেকে ছায়াবৃত্ত পেরিয়ে আলোয় আসে, তখন সেখানে হয় প্রভাত বা সকাল। আর, এর বিপরীত দিকের স্থানটি তখন আলোকিত অংশ থেকে ছায়াবৃত্ত পেরিয়ে অন্ধকারে প্রবেশ করে, ফলে সেখানে হয় সন্ধ্যা।
ঊষা ও গোধূলি :
প্রভাতে সূর্য উদয়ের কিছু আগে যে সময়টিতে ক্ষীণ আলো পাওয়া যায়, সেই সময়টিকে ঊষা বলা হয়। আর, সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের পর যে সময়টিতে ক্ষীণ আলো পাওয়া যায়, সেই সময়টিকে গোধূলি বলা হয়।
মধ্যাহ্ন ও মধ্যরাত্রি :
আলোকিত অর্ধাংশের একেবারে মাঝখানের স্থানটিতে সূর্য ঠিক মাথার ওপর অবস্থান করে, ফলে সেখানে হয় মধ্যাহ্ন। ঠিক এর বিপরীত দিকে অন্ধকার অর্ধাংশের মধ্যবর্তী স্থানটিতে সেই সময় হয় মধ্যরাত্রি।