গুপ্ত যুগের বিজ্ঞান চর্চা আলোচনা কর
Contents
গুপ্ত যুগের বিজ্ঞান চর্চা আলোচনা কর

গুপ্ত যুগে জ্ঞান – বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিকের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছিল । ধাতু বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও এইযুগ ছিল উন্নত । গুপ্ত যুগের প্রাপ্ত মুদ্রাগুলি এবং দিল্লির নিকট প্রাপ্ত মেহেরৌলি লৌহস্তম্ভ এর প্রমাণ । এইযুগে পশুচিকিৎসার ক্ষেত্রেও বিশেষ উন্নতি ঘটেছিল । এ যুগের বিখ্যাত পশুচিকিৎসা – সংক্রান্ত গ্রন্থ হল ‘ হস্তায়ূর্বেদ ’ এবং ‘ অশ্বশাস্ত্র ’। ঐতিহাসিক ব্যাসাম বলেছেন , গুপ্ত যুগে গণিতচর্চা এক অসাধারণ উচ্চতায় পৌঁছায় । গুপ্তযুগের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অবদান রেখে গেছেন ।
বাগভট্ট
চিকিৎসা গ্রন্থের প্রখ্যাত লেখক ছিলেন বাগভট্ট । সম্ভবত একই নামের দুজন ব্যক্তি ছিলেন । এঁরা অষ্টাঙ্গ সংগ্রহ ও অষ্টাঙ্গ হৃদয় সংহিতা নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন ।
চরক ও শুশ্রুত
অনেকের ধারণা যে , প্রখ্যাত শল্যবিদ শুশ্রুত এই যুগের মানুষ ছিলেন । চিকিৎসাবিজ্ঞানে চরক ও শুশ্রুত বিশেষ কৃতিত্ব দেখান ।
আর্যভট্ট
গুপ্ত যুগের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ছিলেন আর্যভট্ট । তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ সূর্য সিদ্ধান্ত ‘ । তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন যে , পৃথিবী নিজের কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে । চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও তিনি দেন । আর্যভট্ট প্রমাণ করেন যে , ৩৬৫ দিনে সৌরবর্ষ সম্পূর্ণ হয় । দশমিক পদ্ধতির প্রবর্তক ছিলেন আর্যভট্ট । তাঁকে ‘ গুপ্ত যুগের নিউটন ‘ বলা হয় । তাঁর ‘ আর্যভট্টিয়ম ’ নামক গ্রন্থটি একটি মৌলিক রচনা । আর্যভট্ট গণিতকে বিজ্ঞানের একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এবং শূন্যের ( ০ ) ব্যবহার দ্বারা গণিতশাস্ত্রকে বিশালতা দেন ।
বরাহমিহির
গুপ্ত যুগের প্রখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিলেন বরাহমিহির । তাঁর দুটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল ‘ বৃহৎ সংহিতা ’ ও ‘ পঞ্চসিদ্ধান্তিকা ’ । ঐতিহাসিক স্মিথ বরাহমিহিরের রচনায় গ্রিক ও রােমান জ্যোতির্বিজ্ঞানের ছাপ লক্ষ করেছেন ।
ব্রহ্মগুপ্ত
‘ ব্ৰহ্মসিদ্ধান্ত ’ রচয়িতা ব্ৰহ্মগুপ্ত এ যুগের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ছিলেন ।