ইতিহাস

গান্ধার শিল্পরীতি ও তার বৈশিষ্ট্য

গান্ধার শিল্পরীতি ও তার বৈশিষ্ট্য

gandhar art
গান্ধার শিল্প

ভৌগােলিক দিক থেকে গান্ধার শিল্পের উৎপত্তি ছিল গান্ধার অর্থাৎ পেশােয়ার এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল অর্থাৎ নগরহর , বামিয়ান , বেগ্রাম , সােয়াট উপত্যকা , ইউসুফজাই এলাকা এবং তক্ষশিলা । খ্রিস্টপূর্ব ৫০ অব্দ থকে ৫০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই শিল্পের ক্রমবিবর্তন ঘটেছিল । গান্ধার শিল্পের বিষয়বস্তু ছিল বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম । মহাযান বৌদ্ধধর্মের অনুরাগী কুষাণ শাসকদের আমলে ভারতীয় বৌদ্ধধর্ম ও গ্রিক শিল্পরীতির সমন্বয়ে গান্ধার শিল্পের উদ্ভব ঘটে

গান্ধার শিল্পের বৈশিষ্ট্য

( i ) গ্রিক ও রােমান রীতিতে বুদ্ধ মূর্তি নির্মিত হত । গ্রিক শিল্পরীতি অনুযায়ী বুদ্ধের মূর্তিতে মাংসপেশি , উন্নত গ্রিবা ও পৌরুষ ফুটিয়ে তােলা হত । আর এর সঙ্গে চোখ ও মুখমণ্ডলে ভারতীয় কমনীয়তা বজায় রাখা হত । মূর্তিগুলিতে রঙের প্রলেপ , পালিশ প্রভৃতি ছাড়াও গোঁফ লাগানাে ও পাগড়ি পরানাে হত ।

( ii ) এই শিল্পে বুদ্ধ মূর্তির মস্তকে বাস্তবতা এবং বিমূর্ত বা অপ্রকাশিত ভাবের সংমিশ্রণ ঘটেছিল ।

( iii ) মূর্তি নির্মাণে পাথর , চুন , বালি , প্লাস্টার অফ প্যারিস , পােড়ামাটি ও মাটি ব্যবহার করা হত ।

স‍্যার জন মার্শাল  বলেছেন যে , গান্ধার শিল্প ভারতে কোনাে স্থায়ী প্রভাব রাখতে পারেনি । আবার পাশ্চাত্য শিল্পের অনুরাগীরা বলেন যে , গান্ধার শিল্প ছিল প্রথম সার্থক ভারতীয় শিল্প । আবার বলা হয় গান্ধার শিল্পীদের হাত দুটি ছিল গ্রিক কিন্তু অন্তর ছিল ভারতীয় । ভারতের অন্তর্দেশে এই শিল্পের প্রভাব না পড়লেও দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এই শিল্পের প্রভাব পড়েছিল ।

2 thoughts on “গান্ধার শিল্পরীতি ও তার বৈশিষ্ট্য

  • Silvia Samanta

    Good 👍 best’ of luch

    Reply
  • Anonymous

    Thank you sir 🥰🥰

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!