মৌর্য যুগের স্থাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্প
Contents
মৌর্য যুগের স্থাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্প

ঐতিহাসিক ডি. ডি. কোশাম্বী বলেছেন , মৌর্য যুগ থেকে ভারতীয় শিল্প – স্থাপত্যের নবযুগের সূচনা হয় । ভারতের বিভিন্নস্থানে মৌর্য শিল্পকলার নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে । মৌর্য শিল্প বলতে মৌর্য যুগের স্থাপত্য , ভাস্কর্য এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ইত্যাদিকেই বােঝায় ।
স্থাপত্য
মৌর্য যুগের স্থাপত্য শিল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল—
( i ) পরিকল্পনায় ও আয়তনে এই নিদর্শনগুলি অতিবৃহৎ ;
( ii ) পাটলিপুত্রের প্রাসাদ ছাড়া অন্যান্য স্থাপত্যকর্মগুলি কঠিন ধূসর বর্ণের বিরাট শিলাখণ্ড দিয়ে তৈরি ;
( iii ) কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন মৌর্য স্থাপত্যে গ্রিক ও পারসিক শিল্পরীতির প্রভাব পরিস্ফুট ;
( iv ) স্থাপত্যকর্মের মূল উপাদান শিলাখণ্ডগুলি বাটালি দিয়ে সুন্দরভাবে কাটা এবং অতি উত্তম পালিশের ফলে সেগুলি খুবই মসৃণ ।
পাটলিপুত্রের রাজপ্রাসাদের ভগ্নাবশেষ , সারনাথের একশিলা বেষ্টনী , বুদ্ধগয়ার বােধিমণ্ড , গয়া জেলার বারবার ও নাগার্জুনী পাহাড়ের গুহাবাসগুলি , লেখযুক্ত ও লেখরিক্ত স্তম্ভগুলি মৌর্য স্থাপত্যশিল্পের অনিন্দ্যসুন্দর নিদর্শন ।
ভাস্কর্য
প্রাচীন ভারতীয় শিল্প বিকাশের ইতিহাসে মৌর্য যুগের ভাস্কর্য একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে ।
( i ) অনেকে মৌর্য যুগের ভাস্কর্যে গ্রিক ভাস্কর্যের প্রভাব লক্ষ করেছেন । আবার নীহাররঞ্জন রায় মনে করেন মৌর্য শিল্পে দেশীয় প্রভাব বিদ্যমান ছিল ।
( ii ) মৌর্য ভাস্কর্যে রাজকীয় আড়ম্বর ও গাম্ভীর্যের প্রকাশ লক্ষ করা যায় । অশােক চক্র , অশােক স্তম্ভ , সাঁচীস্তুপ ও তােরণের গায়ের অলংকরণ ইত্যাদি মৌর্য যুগের ভাস্কর্য শিল্পের নিদর্শন ।
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ
মৌর্য যুগের শিল্পকলায় প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ লক্ষ করা যায় । শিল্পের দুর্বল উপকরণ বাঁশ , কাঠ , ইট , মাটি ইত্যাদি বর্জন করে শিল্পীরা স্থায়ী উপাদান হিসেবে পাথরকে গ্রহণ করে শিল্পকর্মকে স্থায়িত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছিল । শিল্পকর্মগুলি মসৃণ ও সুরুচিসম্পন্ন করার প্রয়াসও ছিল লক্ষণীয় ।
Full qution
মৌর্য শিল্পকলার উপর একটি প্রবন্ধ