কৌটিল্য বা চাণক্য
Contents
কৌটিল্য বা চাণক্য

কৌটিল্য ছিলেন ‘ অর্থশাস্ত্র ’ -এর রচয়িতা এবং চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী । তাঁর রচিত ‘ অর্থশাস্ত্র ’ মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রামাণ্য ঐতিহাসিক গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত । তিনি চাণক্য ও বিষ্ণুগুপ্ত নামেও পরিচিত ছিলেন । তবে কৌটিল্য ও চাণক্য একই ব্যক্তি কি না , সে – সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরােধ আছে । এ ছাড়া অর্থশাস্ত্র কৌটিল্যের লেখা কি না , তা নিয়েও বহু ঐতিহাসিক সংশয় প্রকাশ করেছেন । তা সত্ত্বেও , কৌটিল্য ভারত ইতিহাসে বিশেষ স্মরণীয় হয়ে আছেন ।
মগধে মৌর্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠায় কৌটিল্যের অবদান
কৌটিল্য নন্দ রাজা ধননন্দের কাছে অপমানিত হয়ে নন্দবংশ উচ্ছেদের প্রতিজ্ঞা নেন । বিন্ধ্য পর্বতের গহন অরণ্যে তিনি পাবর্ত্য উপজাতিদের নিয়ে একটি সৈন্যদল গঠন করেন । সেখানেই উচ্চাকাঙ্ক্ষী চন্দ্রগুপ্তকে তিনি সামরিক শিক্ষা দান করেন । অবশেষে এই চন্দ্রগুপ্তকে দিয়ে নন্দ বংশ উচ্ছেদ করিয়ে মগধে মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠা করেন ।
অর্থশাস্ত্র রচনা
‘ অর্থশাস্ত্র ’ রচনা কৌটিল্যের উল্লেখযােগ্য কৃতিত্ব । অর্থশাস্ত্রে তৎকালীন রাষ্ট্রনীতি , সমাজব্যবস্থা , বিচারব্যবস্থা প্রভৃতির উল্লেখ আছে । তিনি বলেছেন , রাজাকে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে কঠোর হতে হবে । রাজার কর্তব্য হচ্ছে প্রজাদের নিরাপত্তা ও সর্বাঙ্গীণ উন্নতিসাধন । অর্থশাস্ত্রে ছয় ভাগের এক ভাগ রাজস্ব নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ।
কৌটিল্যের পররাষ্ট্র নীতি
পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে কৌটিল্য চারটি নীতির কথা বলেছেন—
( i ) সাম ( সন্ধি ও মিত্রতার নীতি ) ।
( ii ) দান ( সাহায্যদানের মাধ্যমে , অন্য রাজার সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন ) ।
( iii ) ভেদ ( শত্রুর রাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ বিবাদ সৃষ্টি করা ) ।
( iv ) দণ্ড ( যুদ্ধের মাধ্যমে রাজ্যজয় করা ) ।