চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের কৃতিত্ব
Contents
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের কৃতিত্ব

সুদক্ষ যােদ্ধা , যােগ্য প্রশাসক ও উদার মানসিকতার জন্য চন্দ্রগুপ্ত ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নৃপতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন । ভারত – ইতিহাসের এক যুগসন্ধিক্ষণে তাঁর আবির্ভাব ঘটেছিল ।
রাষ্ট্রীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা
তিনি সবল হাতে নন্দ বংশের অত্যাচার ও গ্রিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতবর্ষকে রক্ষা করেন । বৈদিক যুগ থেকে ঐক্যবদ্ধ ভারত রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন ভারতবাসী দেখেছিল , তাকে বাস্তব রূপ দিয়েছিলেন চন্দ্রগুপ্ত ।
বিশাল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন
পূর্বে বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিমে আরব সাগর এবং উত্তরে হিমালয় থেকে দক্ষিণে মহীশূর পর্যন্ত বিরাট ভূভাগে তিনি ভারত সাম্রাজ্যের ভিত্তি রচনা করেছিলেন ।
সামরিক দক্ষতা
নন্দ রাজাদের উচ্ছেদ সাধন , গ্রিকদের ভারত থেকে বিতাড়ন এবং সেলুকাসের সঙ্গে যুদ্ধে সাফল্য অর্জন তাঁর সামরিক কৃতিত্বের সাক্ষ্য ।
সুশাসন প্রবর্তন
কেবল রাজ্যজয় নয় , এক বৃহৎ সাম্রাজ্যে সুনিয়ন্ত্রিত শাসনকাঠামাের প্রতিষ্ঠা চন্দ্রগুপ্তের এক অনন্য কীর্তি । স্বৈরাচারী ক্ষমতার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তিনি মন্ত্রী পরিষদ ও স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থাকে যে মর্যাদা দিয়েছিলেন , তা প্রশংসার যােগ্য । কৌটিল্য চন্দ্রগুপ্তের শাসন ব্যবস্থায় প্রজাহিতৈষণার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন । বিচারে ন্যায় পরায়ণতা ও ধর্মানুশীলনে সহিষ্ণুতা ছিল তাঁর চরিত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ।
শিল্প সংস্কৃতির পৃষ্ঠপােষকতা
শিল্প ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপােষক হিসেবেও চন্দ্রগুপ্ত স্মরণীয় । মেগাস্থিনিসের বিবরণ থেকে তাঁর অনন্য শিল্পবােধের পরিচয় পাওয়া যায় । তাঁর আমলে পাটলিপুত্রের সৌন্দর্য বিদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে ।