শিক্ষাক্ষেত্রে আগ্রহের গুরুত্ব
Contents
শিক্ষাক্ষেত্রে আগ্রহের গুরুত্ব
আধুনিক শিক্ষায় শিশুর সামগ্রিক জীবন বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল আগ্রহের সঞ্চার করা , যাতে শিশু তার জীবন পরিস্থিতির সকল অংশে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে । বিদ্যালয়ের শিক্ষা যদি শিশুর ভবিষ্যৎ জীবন উপযোগী আগ্রহ সপ্তারে সক্ষম হয় তবে তা শিক্ষার্থীর কাছে অনেক বেশি বাস্তবমুখী , অর্থবহ ও জীবনমুখী হয়ে উঠবে । শিশুর শিক্ষায় আগ্রহের ভূমিকা হল নিম্নরূপ 一
সক্রিয়তা বৃদ্ধি
আগ্রহ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা গ্রহণে সক্রিয় করে তোলে । যে সক্রিয়তা শিক্ষার্থীর শিখনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে ।
নতুন কর্মে অনুপ্রেরণা
আগ্রহ শিক্ষার্থীকে নতুন কিছু কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগায় । নতুন সৃষ্টির প্রতি আরও শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলে ।
উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠন
আগ্রহ শিক্ষার্থীকে পরিশ্রমী করে তোলে । অর্থাৎ , কোনো বিষয় সম্পর্কে কঠিন অনুশীলন শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যৎ সফলতা আনতে সাহায্য করে ।
মনোযোগ বৃদ্ধি
আগ্রহ , শিক্ষার্থীকে শিক্ষণীয় বিষয়ে অনেক বেশি আগ্রহী করে তোলে । এই মনোযোগ আসে স্বাভাবিক ভাবে ।
শিক্ষাভিমুখী প্রেষণা সঞ্চার
আগ্রহ , শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষাভিমুখী প্রেষণা সঞ্চার করে তা দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে ।
সহজাত প্রবৃত্তির উদগতি সাধন
আগ্রহ শিক্ষার্থীর মধ্যে যে সহজাত প্রবৃত্তি রয়েছে তার উদগতি সাধন অনুপ্রাণিত করে ।
নিখুঁত বিষয় জ্ঞান অর্জন
আগ্রহ , শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন বিষয়ে নিখুঁত জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করে । এর ফলে শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় ।
দক্ষতা বৃদ্ধি
শিক্ষার্থীর মধ্যে বিষয়জ্ঞান নিখুঁত হয় বলে তার মধ্যে দক্ষতা বৃদ্ধি পায় । দক্ষ শিক্ষার্থী যে কোনো কাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে করতে পারে ।
সৃজনধর্মী ক্ষমতার বিকাশ
আগ্রহ শিশুর অন্তর্নিহিত সৃজন ক্ষমতার বিকাশ ঘটিয়ে তার অনুসন্ধানমূলক প্রচেষ্টায় অনুপ্রেরণা জোগায় ।
গঠনমুখী জীবন
আগ্রহ শিক্ষার্থীর জীবনকে গঠনমুখী , পরিশীলিত , সামাজিক এবং বাস্তবধর্মী করে গড়ে তোলে ।
বিষয়বস্তু নির্বাচনে সহায়তা
শিশুর আগ্রহ তাকে শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু নির্বাচনে সহায়তা করে । শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুর সঙ্গে আগ্রহ সংযুক্ত হলে তা সে সহজে আয়ত্ত করতে পারে এবং তার অনুশীলনে অনেক বেশি আনন্দ পায় ।
শিক্ষামূলক ও বৃত্তিমূলক নির্দেশনা
শিক্ষার্থীর আগ্রহ অনুশীলন করে , তাকে যথার্থভাবে শিক্ষামূলক ও বৃত্তিমূলক নির্দেশনা দেওয়া সম্ভব হয়ে থাকে ।
তাই বলা যায় শিক্ষাক্ষেত্রে আগ্রহের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তাই শিক্ষাব্যবস্থা এমনভাবে সংগঠিত এবং পরিচালিত হবে যাতে শিক্ষার্থীপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে । এর জন্য বিজ্ঞান ভিত্তিক পাঠ্যক্রম , শিক্ষামূলক প্রদীপন , বৈচিত্র্যপূর্ণ বিদ্যালয় পরিবেশ এবং শিক্ষকের বন্ধুত্ব পূর্ণ আচরণ ইত্যাদি বিষয়গুলির ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে ।