প্রেষণা চক্র কি

Contents

প্রেষণা চক্র কি

প্রেষণাকে বিশ্লেষণ করলে চারটি পর্যায় পাওয়া যায় । 

( ১ ) অভাববোধ বা চাহিদা ( Need ) ( ২ ) তাড়না ( Drive ) , ( ৩ ) সহায়ক আচরণ ( Instrumental Behaviour ) , ( ৪ ) উদ্দেশ্যপূরণ ( Fulfil of Goal ) । এই চারটি পর্যায় নিম্নে বৃত্তের মাধ্যমে দেখানো হল –

অভাববোধ বা চাহিদা ( Need ) 

প্রেষণা চক্রের প্রথম ও প্রধান স্তর হল চাহিদা বা অভাববোধ । বিভিন্ন কারণে ব্যক্তির মধ্যে অভাববোধ সৃষ্টি হয় । যেমন – ক্ষুধা , তৃষ্মা , পদমর্যাদা , মাতৃত্ব প্রেষণা ইত্যাদি । 

তাড়না ( Drive ) 

প্রেষণা চক্রের দ্বিতীয় অবস্থা হল তাড়না । চাহিদা বা অভাববোধ থেকে ব্যক্তির মধ্যে একটি অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয় । এই অবস্থা ব্যক্তিকে চাহিদা পূরণের জন্য তাড়িত করে । চাহিদা পূরণের তাড়নায় ব্যক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে । 

যেমন – কোনো ব্যক্তিকে যদি ১০ ঘণ্টা খাবার না দেওয়া হয় তাহলে তার দেহের অভ্যন্তরে অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং সে এই অবস্থা দূরীকরণে সচেষ্ট হয়ে ওঠে । 

সহায়ক আচরণ ( Instrumental Behaviour ) 

প্রেষণা চক্রের তৃতীয় অবস্থা হল সহায়ক আচরণ । ব্যক্তি তার অস্বস্তি দূর করার জন্য কতকগুলি বিশেষ আচরণ করে থাকে । অর্থাৎ উদ্দেশ্য বস্তু লাভের জন্য ব্যক্তি যেসব আচরণ করে তাকে সহায়ক আচরণ বলে । 

যেমন – ক্ষুধার্ত ব্যক্তির খাবারের অন্বেষণের চেষ্টা হল আচরণ । 

উদ্দেশ্যপূরণ ( Goal ) 

প্রেষণা চক্রের সর্বশেষ স্তর হল উদ্দেশ্যপূরণ বা লক্ষ্য বস্তুতে উপনীত হওয়া । লক্ষ্য বস্তুতে উপনীত হলে ব্যক্তির অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা দূরীভূত হয় এবং সে পরিতৃপ্তি লাভ করে । 

সুতরাং , একটি প্রেষণা চক্র সম্পূর্ণ হওয়ার পরমুহূর্তে ব্যক্তির মধ্যে আরও একটি নতুন প্রেষণার উন্মেষ ঘটে । অর্থাৎ , জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে প্রেষণা চক্রাকারে আবর্তিত হয় ।

error: Content is protected !!