শিক্ষা বিজ্ঞান

জৈবিক প্রেষণা কাকে বলে 

জৈবিক প্রেষণা কাকে বলে 

ব্যক্তির জৈবিক চাহিদাগুলি থেকে যে প্রেষণার উদ্ভব হয় , তাকে জৈবিক প্রেষণা বলে । 

যেমন – ক্ষুধা , তৃষ্ণা , যৌন প্রেষণা , মাতৃত্ব ইত্যাদি । জৈবিক প্রেষণাকে সহজাত বা জন্মগত প্রেষণাও বলা হয়ে থাকে । প্রাণীমাত্রই ক্ষুধার তাড়না অনুভব করে । খাদ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে সেই তাড়নার পূরণ ঘটে । শরীরবিজ্ঞানী ক্যানন 1934 খ্রিস্টাব্দে গবেষণার সাহায্যে প্রমাণ করেন , পাকস্থলীর সংকোচনের সঙ্গে ক্ষুধা অনুভূতির গভীর সম্পর্ক রয়েছে । 

মা তাঁর শিশুকে আদর , স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে লালন পালন করেন । এইরূপ তাগিদকে মাতৃত্ব বলে ।

জৈবিক প্রেষণার বৈশিষ্ট্য 

জৈবিক প্রেষণার যে সকল বৈশিষ্ট্য দেখা যায় , তা নিম্নে আলোচনা করা হল : 

( ১ ) জৈবিক প্রেষণা জন্মগত বা সহজাত শিক্ষার দ্বারা অর্জিত নয় । 

( ২ ) জৈবিক প্রেষণা জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য । 

( ৩ ) এই প্রেষণা প্রাণীর দৈহিক চাহিদা থেকে সৃষ্টি হয় । 

( ৪ ) এই প্রেষণা সমগোত্রীয় সকল প্রাণীর মধ্যে সমানভাবে দেখা যায় । 

( ৫ ) এই ধরনের প্রেষণা প্রাণীর দেহের অভ্যন্তরে অস্থিরতা সৃষ্টি করে । এই অস্থিরতা দূর করার জন্য সচেষ্ট হয়ে ওঠে । 

( ৬ ) জৈবিক প্রেষণা দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।

error: Content is protected !!