দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কাকে বলে
Contents
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কাকে বলে
যে সমস্ত ব্যক্তির [ i ] সবচেয়ে ভালো চোখে বা লেন্স ব্যবহারের পরেও দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা ২০/২০০ বা তারও কম অথবা [ ii ] দৃষ্টিশক্তি ২০/২০০ এর বেশি কিন্তু ভালো চোখে দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা ২০ ইঞ্চির বেশি নয় , তাদের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বলা হয় ।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের শ্রেণীবিভাগ
দর্শন জনিত ত্রুটি সম্পন্ন শিশুদের প্রধানত তিনটি উত্তর শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যেমন—
সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন :
যারা একেবারেই দেখতে পায় না এবং পড়াশোনার জন্য ব্রেইল প্রণালীর সাহায্য নিতে বাধ্য হয় , তাদের বলা হয় সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন । দৃষ্টি শক্তির প্রয়োজন হয় এমন কোনো কাজ তারা করতে পারে না । পরিবর্তে শ্রবণ ও স্পর্শ শক্তির ওপর নির্ভরশীল হয় ।
আংশিক দৃষ্টি সম্পন্ন :
যেসব শিশুদের দৃষ্টি শক্তি স্বাভাবিক শিশুদের থেকে দুর্বল এবং যারা বড়ো হরফের ছাপানো লেখা পড়তে পারে , কিংবা বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছু কিছু সাধারণ হরফের লেখাও পড়তে পারে তাদের বলা হয় আংশিক দৃষ্টি সম্পন্ন ।
মনোবিদ লোয়েনফেল্ড দৃষ্টিহীনদের প্রধান চারটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন । যথা—
1. জন্মগত দৃষ্টিহীন : এই প্রকারের ছেলেমেয়েরা জন্মগতভাবে পাঁচ বছর বয়স হওয়ার আগেই সম্পূর্ণভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে ।
2. পাঁচ বছর বয়সের পর সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন : যেসব ছেলেমেয়ে পাঁচ বছর বয়সের পর কোনো কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে তাদের এই শ্রেণিভুক্ত করা হয় । এইসব ছেলেমেয়েরা মানসিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে প্রথম শ্রেণির দৃষ্টিহীনদের থেকে অনেকটা আলাদা ।
3. জন্মগত ভাবে আংশিক দৃষ্টিহীন : এই ছেলেমেয়েরা জন্মগত ভাবেই আংশিক দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন হয়ে থাকে । এই ধরনের ছেলেমেয়েরা বড়ো হরফের ছাপানো অক্ষরের লেখা ছাড়া পড়তে পারে না ।
4. অর্জিত আংশিক দৃষ্টিহীন : এই ছেলেমেয়েরা জন্মগতভাবে স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন ছিল , কিন্তু পরবর্তীকালে কোনো আকস্মিক কারণে বা দুর্ঘটনার ফলে আংশিক দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে ।