প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে কোঠারি কমিশন
প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে কোঠারি কমিশন
প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে কোঠারি কমিশনের তথা ভারতীয় শিক্ষা কমিশনের বক্তব্য হল ‘ প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা , প্রাথমিক শিক্ষার প্রস্তুতি পর্ব ’ । এই স্তরের শিক্ষার উদ্দেশ্য হল শিশুর বিভিন্ন প্রক্ষোভগুলিকে সুসংহত এবং শিক্ষা সহায়ক করে তোলা ; তাদের মধ্যে সামাজিক চেতনা জাগ্রত করা ; সু অভ্যাস গঠন করা ; সমবেত জীবন যাত্রার মাধ্যমে সহযোগিতা , সহমর্মিতার এবং সমবেদনার আদর্শ গঠন করা ; স্বাস্থ্যাভ্যাস গড়ে তোলা ইত্যাদি ।
প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য পূরণে কমিশনের সুপারিশ
[ 1 ] প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য যেহেতু শিশুর মধ্যে সু অভ্যাস গড়ে তোলা , সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি গঠন করা এবং প্রাক্ষোভিক বিকাশ ঘটানো , তাই শিশুদের খেলাধুলো , নাচ , গান ও কাজের মাধ্যমে ইন্দ্রিয় প্রশিক্ষণের সাহায্যে শিক্ষাদান করতে হবে ।
[ 2 ] প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য যেহেতু শিশুর মানসিক বিকাশে সহয়তা করা , তাদের কৌতূহল প্রবৃত্তির বিকাশ ঘটানো এবং তাদের শিক্ষার জন্য অনুকূল পরিবেশ রচনা করা , তাই এ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন প্রকারের গবেষণা ভিত্তিক পরীক্ষণকে উৎসাহ দিতে হবে । এর জন্য প্রাক প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক শিক্ষিকাদের এইসব বিষয়ে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে ।
[ 3 ] প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার অন্যান্য উদ্দেশ্যগুলিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য এক থেকে তিন বছরের শিশুদের প্রাপ্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে । ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তিন থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের শতকরা পাঁচ ভাগ এবং পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সি শিশুদের শতকরা পঞ্চাশ ভাগ যাতে এই শিক্ষার আওতায় আসে তার ব্যবস্থা করতে হবে । এই স্তরের শিক্ষার পরিচালনা , পরিদর্শন এবং প্রসারের উদ্দেশ্যে জেলায় জেলায় একটি করে সরকারি পরিদর্শন কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে ।
প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের কাঠামো সম্পর্কে কমিশনের সুপারিশ
প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের কাঠামো সম্পর্কে ভারতীয় শিক্ষা কমিশনের অভিমত হল — প্রাক প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাকাল হবে ১ থেকে ৩ বছরের । শিশুরা ৩ বা ৪ বছর বয়সে পৌঁছোলে এই স্তরে পাঠ গ্রহণের জন্য বিবেচিত হবে । এই পাঠ চলবে তাদের ৫–৬ বছর বয়স পর্যন্ত । তারপর তারা প্রাথমিক স্তরে ভরতি হতে পারবে । প্রাক প্রাথমিক স্তরের শিশুদের শিক্ষার কাঠামোটি হবে নিম্নরূপ :
