অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব কি
অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব কি
১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ৪২ তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে শিক্ষাকে যুগ্ম তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয় । এটি একটি সুদূর প্রসারী পদক্ষেপ । ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের জাতীয় শিক্ষানীতিতে ‘ অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব ’ বলতে বোঝায় যুগ্ম তালিকায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা কী হবে তার ব্যাখ্যা ।
জাতীয় শিক্ষানীতিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য , জাতীয় শিক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলিকে সুদৃঢ় করার জন্য , শিক্ষার গুণগত মানের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য , জনগণের মধ্যে জাতীয় সংহতি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এবং মানব সম্পদের যথাযথ বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব সম্পর্কে অর্থাৎ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে কী দায়িত্ব পালন করবে সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট অভিমত ব্যক্ত করা হল অংশীদারী ধারণার মূল কথা ।
রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে যদি অগ্রসর না হয় , তাহলে শিক্ষার ক্ষেত্রটি ব্যাহত হবে । দেশের অগ্রগতিও পদে পদে বিঘ্নিত হবে ।