বিভিন্ন প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
Contents
বিভিন্ন প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় কয়েকটি বিদ্যুৎ চালিত কম্পিউটার তৈরি হয় । আজ পর্যন্ত কম্পিউটার প্রযুক্তির বিকাশকে চারটি প্রজন্মে ভাগ করা হয় । যথা :
প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার ( ১৯৪২–১৯৫৫ )
এই ধরনের কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামোটি ছিল ভ্যাকুয়াম টিউব । এই কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য হল — এটি
( i ) আকারে বেশ বড়ো ,
( ii ) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ,
( iii ) সহজে একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়া যেত না । EDSAC , EDVAC , Mark I , ENIAC হল প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার ।
দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার ( ১৯৫৬–১৯৬৪ )
এই ধরনের কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামোটি ছিল ট্রানজিস্টার । এই কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য হল — এটি
( i ) আগের তুলনায় আকারে অনেক ছোটো ,
( ii ) সহজে একস্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া যেত না ,
( ii ) এর বাণিজ্যিক উৎপাদন ছিল ব্যয় সাপেক্ষ । IBM1400 , CDC600 , HONEY WELL400 ইত্যাদি হল দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার ।
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার ( ১৯৬৫-১৯৭৬ )
এই ধরনের কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামোটি ছিল ইনটিগ্রেটেড সার্কিট ( IC ) বা চিপ এবং লার্জ স্কেল ইনটিগ্রেশন ( LSI ) ।
( i ) এটি আকারে বেশ ছোটো ছিল ,
( ii ) অতি দ্রুত তথ্যবিন্যাসের কাজ করতে পারত ,
( iii ) একে সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেত ,
( iv ) এর বাণিজ্যিক উৎপাদনের খরচ ছিল তুলনামূলক কম ।
চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার ( ১৯৭৭ থেকে আজ পর্যন্ত )
এই ধরনের কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামো হল মাইক্রো প্রসেসর বা ভেরি লার্জ স্কেল ইনটিগ্রেশন ( VLSI ) । এই কম্পিউটার—
( i ) আকারে খুবই ছোটো এবং এর স্মৃতি ভাণ্ডার বেশ বড়ো ,
( ii ) তথ্য বিন্যাসের কাজ অতি দ্রুত গতিতে করতে পারে ;
( iii ) এর উৎপাদন ব্যয়ও তুলনামূলকভাবে অনেক কম ।