পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় প্রশাসনের মূল বৈশিষ্ট্য
পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় প্রশাসনের মূল বৈশিষ্ট্য
ভারতের বিকেন্দ্রীকৃত প্রশাসন ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন । প্রশাসনিক সুবিধার জন্য অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গকে কয়েকটি বিভাগ ( ডিভিশন ) -এ , প্রতিটি বিভাগকে কয়েকটি জেলায় , জেলাকে কয়েকটি মহকুমায় এবং মহকুমাকে কয়েকটি ব্লক এ ভাগ করা হয়েছে । বিভাগ থেকে ব্লক পর্যন্ত বিন্যস্ত প্রশাসনিক কাঠামোই স্থানীয় প্রশাসন বলে পরিচিত । এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল—
সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রেসিডেন্সি , বর্ধমান এবং জলপাইগুড়ি — এই তিনটি বিভাগে বিভক্ত । মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন ক্রমে মুখ্যসচিব বিভাগগুলিতে বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ করেন । সাধারণত প্রধান আই. এ. এস. অফিসারদের মধ্য থেকে বিভাগীয় কমিশনার নিযুক্ত হন ।
স্থানীয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ একক হল জেলা । এই জেলা প্রশাসনের দায়িত্বে রয়েছেন জেলা শাসক । পশ্চিমবঙ্গের মোট ১৯ টি জেলার মধ্যে দার্জিলিং , জলপাইগুড়ি , কোচবিহার ও পুরুলিয়া জেলার প্রধান শাসককে বলা হয় উপ কমিশনার আর বাকি ১৫ টি জেলায় জেলা প্রশাসনের প্রধান ব্যক্তিত্বকে বলা হয় জেলা শাসক । সাধারণত আই. এ. এস. অফিসারদের মধ্য থেকে রাজ্য সরকার তাদের নিয়োগ করেন । সমাহর্তা বা কালেক্টর হিসেবে , জেলার শাসক বা ম্যজিস্ট্রেট হিসেবে , জেলার মুখ্য সরকারি আধিকারিক হিসেবে , জেলা উন্নয়ন আধিকারক হিসেবে এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক হিসেবে জেলাশাসক বহু ও বিচিত্র ধরনের কাজ ও দায়িত্ব পালন করেন । তিনি জেলা প্রশাসনের মধ্যমণি ।
পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলাকে মহকুমা নামে কয়েকটি এককে ভাগ করা হয় । প্রতিটি মহকুমার প্রশাসনিক প্রধান হলেন মহকুমা শাসক বা এস. ডি. ও. । জেলায় জেলা শাসক যেমন কাজ করেন মহকুমায় এস. ডি. ও. সেরূপ কাজ ই করেন । তাই তাঁদের ‘ খুদে জেলা শাসক ’ ও বলা হয় ।
পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি মহকুমা আবার কয়েকটি এককে বিভক্ত । যার নাম ব্লক । ব্লকের প্রশাসনিক অধিকর্তা ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক — এরা রাজ্য কৃত্যকের সদস্য । বিডিও হলেন ব্লকের প্রধান প্রশাসক । ব্লকের অন্তর্গত সমস্ত প্রকার উন্নয়ন কর্মসূচির কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হলেন বিডিও । এ ছাড়া পঞ্চায়েত সমিতির কার্যনির্বাহী আধিকারিক হিসেবে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে ।