সাধারণ সভার গঠন ও ভোটদান পদ্ধতি
Contents
সাধারণ সভার গঠন ও ভোটদান পদ্ধতি
সাধারণ সভার গঠন
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রধান ছয়টি সংস্থার মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রতিনিধিত্বমূলক সংস্থা হল সাধারণ সভা । জাতিপুঞ্জের বহুমুখী কাজকর্মের মূলকেন্দ্র হিসেবে সাধারণ সভাকে অভিহিত করা হয় । জাতিপুঞ্জের সমস্ত সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে সাধারণ সভা গঠিত হয় । বর্তমানে ১৯২ টি সদস্য রাষ্ট্র সাধারণ সভার অন্তর্ভুক্ত ।
সাধারণ সভায় প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের পাঁচজন করে প্রতিনিধি পাঠানোর ক্ষমতা রয়েছে । ক্ষুদ্র বৃহৎনির্বিশেষে প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্র একটি করে ভোট দিতে পারে । সনদে উল্লিখিত সমমর্যাদা ও সমপ্রতিনিধিত্বের নীতি সাধারণ সভায় বাস্তবায়িত হয়েছে । কার্য পরিচালনার ব্যাপারে সাধারণ সভাকে সাহায্য করার জন্য প্রধান কমিটি , পদ্ধতিগত কমিটি ও স্থায়ী কমিটি রয়েছে ।
অধিবেশন :
সাধারণ সভার বার্ষিক অধিবেশন প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার শুরু হয় । ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অধিবেশন চলে । অবশ্য সাধারণ সভার বিশেষ অধিবেশন এবং বিশেষ জরুরি অধিবেশনে মিলিত হওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে । সনদের ২০ নং ধারা অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিষদ অথবা অধিকাংশ সদস্য রাষ্ট্রের অনুরোধে মহাসচিব সাধারণ সভার জরুরি অধিবেশন ডাকতে পারেন ।
কার্য পরিচালনা পদ্ধতি :
প্রতিটি অধিবেশনের শুরুতে সভার সদস্যরা একজন সভাপতি এবং ২১ জন সহসভাপতি নির্বাচন করেন । সাধারণ সভার সাতটি প্রধান কমিটির চেয়ারম্যানদেরও এই সময় নির্বাচন করা হয় । বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে সমতা বজায় রাখার জন্য পাঁচটি অঞ্চল থেকে আবর্তনশীলতার নীতি অর্থাৎ এক এক অঞ্চল থেকে এক একবার — এই ভিত্তিতে প্রতি বছর সাধারণ সভার সভাপতি নির্বাচন করা হয় । এই পাঁচটি অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে আফ্রিকা , এশিয়া , লাতিন আমেরিকা , পূর্ব ইউরোপ ও পশ্চিম ইউরোপ ।
সাধারণ সভার ভোট দান পদ্ধতি
জাতিপুঞ্জের সনদের ১৮ নং ধারা অনুযায়ী , সাধারণ সভায় প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের একটি করে ভোট নির্দিষ্ট করা হয়েছে । সনদের ১৮ ( ২ ) নং ধারা অনুযায়ী , যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সাধারণ সভায় উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের সম্মতি প্রয়োজন হয় । গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে সাধারণ সভার উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যের সংখ্যা গরিষ্ঠের সম্মতিই যথেষ্ট ।