প্রচলিত শক্তির উৎস কাকে বলে 

প্রচলিত শক্তির উৎস কাকে বলে 

যেসব শক্তির উৎস বর্তমানে বেশি ব্যবহৃত হয় , সেগুলিকে চিরাচরিত বা প্রচলিত শক্তির উৎস বলা হয় । উদাহরণ— ( ১ ) কয়লা , ( ২ ) খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস , ( ৩ ) খরস্রোতা নদী এবং ( ৪ ) ইউরেনিয়াম , থোরিয়াম প্রভৃতি তেজস্ক্রিয় খনিজ । এই চারটি উৎস বর্তমানে শক্তি উৎপাদনের কাজে বেশি ব্যবহৃত হয় , তাই এগুলি চিরাচরিত বা প্রচলিত শক্তির উৎস । 

প্রচলিত শক্তির ব্যবহারের সুবিধা  

( ১ ) দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত হওয়ার ফলে চিরাচরিত শক্তির উৎস ব্যবহারের উপযোগী প্রযুক্তি সহজলভ্য । 

( ২ ) কোনো দেশে চিরাচরিত শক্তির উৎস না থাকলেও , পরিবহনযোগ্য বলে ( জলপ্রবাহ ছাড়া ) এগুলি অন্য দেশ থেকে আমদানি করে ব্যবহার করা যায় । 

প্রচলিত শক্তির ব্যবহারের অসুবিধা 

( ১ ) অধিকাংশ চিরাচরিত শক্তির উৎস ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয় । 

( ২ ) অধিকাংশ চিরাচরিত শক্তির উৎস সঞ্চিত বা ক্ষয়িষ্ণু ( Fund or exhaustible ) হওয়ায় ব্যবহারের ফলে যে-কোনো সময়েই নিঃশেষিত হতে পারে । 

( ৩ ) আহরণ এবং ব্যবহার বা বিকাশের জন্য প্রচুর মূলধন এবং উন্নত প্রকৌশলের প্রয়োজন হয় । 

( ৪ ) এই কারণে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশগুলি চিরাচরিত শক্তি ব্যবহারে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করে । সুতরাং চিরাচরিত শক্তি উন্নত এবং অনুন্নত দেশগুলির মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্যকে আরও প্রকট করে । 

( ৫ ) বিশ্বের মাত্র কয়েকটি দেশেই চিরাচরিত শক্তির উৎস বেশি আহৃত হয় ।

error: Content is protected !!