পশ্চিমবঙ্গের লৌহ ইস্পাত শিল্পের উন্নতির কারণ
Contents
পশ্চিমবঙ্গের লৌহ ইস্পাত শিল্পের উন্নতির কারণ
পশ্চিমবঙ্গের লোহা ও ইস্পাত শিল্পের উন্নতির কারণগুলি হল—
ভৌগোলিক কারণ
কয়লা সম্পদের প্রাচুর্য :
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার পশ্চিমভাগে রানিগঞ্জ , অণ্ডাল , দিশেরগড় প্রভৃতি এলাকা কয়লা সম্পদে সমৃদ্ধ । তা ছাড়া ভারতের বৃহত্তম কয়লাখনি ঝরিয়া এই অঞ্চলের কাছেই অবস্থিত । সুতরাং , এখানে প্রচুর পরিমাণে উন্নত মানের কয়লা সুলভে পাওয়া যায় ।
জলের সহজলভ্যতা :
লোহা-ইস্পাত কারখানার জন্য পর্যাপ্ত জলের প্রয়োজন হয় । দামোদর নদ এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্রয়োজনমতো জল পাওয়ার সুবিধা আছে ।
শক্তি সম্পদের জোগান :
মাইথন , পাঞ্চেত ও তিলাইয়া থেকে জলবিদ্যুৎ ও দুর্গাপুর থেকে তাপবিদ্যুৎ পাওয়ার সুবিধা রয়েছে , যা লোহা ও ইস্পাত শিল্পের উন্নতিতে সাহায্য করে ।
অর্থনৈতিক কারণ
সুলভ শ্রমিক :
পশ্চিমবঙ্গ , ঝাড়খণ্ড , বিহার ও দুর্গাপুরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি থেকে দক্ষ ও সুলভ শ্রমিক এখানে সুলভে পাওয়া যায় , যা শিল্পোন্নতিতে সহায়তা করে ।
বাজার ও বন্দরের সাথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা :
দুর্গাপুর এবং কুলটি বার্নপুর পূর্ব রেলপথ , গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড এবং দামোদর উপত্যকা পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত নৌবহনযোগ্য খালের মাধ্যমে হুগলি শিল্পাঞ্চলের বিশাল বাজার ও কলকাতা বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত ও রপ্তানি করা । এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি করার বিশেষ সুবিধা হয় ।
চাহিদা বা বাজার :
দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চল ও কলকাতা শিল্পাঞ্চলে ইস্পাতের চাহিদা এখানে শিল্পোন্নতিতে সাহায্য করেছে ।