পশ্চিমবঙ্গের কৃষিজ ফসলের শ্রেণিবিভাগ
পশ্চিমবঙ্গের কৃষিজ ফসলের শ্রেণিবিভাগ
পশ্চিমবঙ্গে উৎপাদিত কৃষিজ ফসল সমূহকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায় , যেমন—
ঋতু অনুসারে
ঋতু অনুসারে ফসলকে তিনভাগে ভাগ করা যায়—
রবি ফসল : শীতের প্রারম্ভে এগুলির চাষ শুরু হয় এবং গ্রীষ্মের প্রারম্ভে ফসল কাটা হয় । যেমন — গম , যব , আলু , সরষে প্রভৃতি । গ্রীষ্মকালে , বিশেষত বর্ষার প্রারম্ভে এগুলির চাষ করা হয় ।
খারিফ ফসল : শুরু হয় এবং শরতের শেষে ফসল কাটা হয় । যেমন — আমন ধান , পাট , আখ প্রভৃতি ।
জায়িদ ফসল : এগুলি বসন্তকালে অর্থাৎ ফাল্গুন ( মার্চ ) মাসে চাষ করা হয় এবং বর্ষার প্রারম্ভে অর্থাৎ আষাঢ় ( জুন ) মাসে সংগ্রহ করা হয় । যেমন — কুমড়ো , বরবটি , পটল , তরমুজ প্রভৃতি ।
ব্যবহার অনুযায়ী
ব্যবহার অনুযায়ী ফসলকে দুইভাগে ভাগ করা হয় , যেমন —
খাদ্য ফসল : খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত ফসলগুলির নাম খাদ্য ফসল । যেমন — ধান , গম , যব , ভুট্টা প্রভৃতি এবং ডাল জাতীয় ফসল ।
বাণিজ্যিক ফসল : কেবল বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে যে ফসল চাষ করা হয় তাকে বাণিজ্যিক ফসল বলে । এটিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় । যথা—
[ a ] বাগিচা ফসল : প্রধানত রপ্তানির জন্য আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে বৃহদায়তন খামারের মধ্যে যখন কোনো একটি নির্দিষ্ট ফসল চাষ করা হয় , তখন সেই ফসলটিকে বাগিচা ফসল বলে । যেমন — চা ।
[ b ] তন্তু জাতীয় ফসল : যেসব ফসল থেকে প্রধানত তন্তু বা সুতো তৈরি হয় , তাদের নাম তন্তু ফসল । যেমন — পাট , ফান , মেস্তা প্রভৃতি ।
ফুল-ফল ও সবজি চাষ বা হর্টিকালচার : আম , কলা , পেয়ারা , লিচু , আনারস , রজনিগন্ধা , গাঁদা প্রভৃতি । সবজির মধ্যে আলু , পেয়াজ , পটল , বাধাকপি , ফুলকপি , ঝিঙে , উচ্ছে ইত্যাদি ।