জীবন বিজ্ঞান

শ্বসনবস্তু কাকে বলে  

শ্বসনবস্তু কাকে বলে  

যে সকল জৈব যৌগ শ্বসন প্রক্রিয়ায় জারিত হয় , তাদের শ্বসনবস্তু বলে । 

কার্বোহাইড্রেড , প্রোটিন , ফ্যাট , জৈব অম্ল প্রভৃতি বিভিন্ন জৈব যৌগ শ্বসনবস্তু রূপে বিবেচিত হলেও গ্লুকোজ ( সরল শর্করা )কেই প্রধান শ্বসন বস্তু বলা হয় । কারণ সকল প্রকার কার্বোহাইড্রেড গ্লুকোজে পরিণত হওয়ার পর শ্বসন প্রক্রিয়ায় জারিত হয় । কার্বোহাইড্রেট জাতীয় শ্বসনবস্তুর অনুপস্থিতিতে প্রোটিন , ফ্যাট , জৈব অম্ল প্রভৃতি বিভিন্ন জৈব যৌগ শ্বসনবস্তু রূপে ব্যবহৃত হয় ।

এক গ্রাম অণু গ্লুকোজ ( C6H12O6 = 12×6 + 1×12 + 16×6 = 180 ) বা 180 গ্রাম গ্লুকোজ সবাত শ্বসন প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ জারিত হয়ে 686 K.Cal শক্তি উৎপন্ন করে । সবাত শ্বসনে 38 অণু ATP উৎপন্ন হয় যার মধ্যে গ্লুকোজ জারণের ফলে উৎপন্ন শক্তির কিছু পরিমাণ রাসায়নিক শক্তি আবদ্ধ থাকে বাকি অংশ তাপ শক্তি রূপে মুক্ত হয় । পরীক্ষায় জানা গেছে এক অণু ATP উৎপন্ন করতে 7.3 K.Cal শক্তির প্রয়োজন ।  

সুতরাং 38 অণু ATP উৎপন্ন করতে প্রয়োজন 38×7.3 K.Cal শক্তির বা 277.4 K.Cal শক্তির । এক গ্রাম অণু গ্লুকোজের সম্পূর্ণ জারণের ফলে উৎপন্ন শক্তির মধ্যে 277.4 K.Cal রাসায়নিক শক্তিরূপে ATP অণুগুলির মধ্যে আবদ্ধ থাকে এবং বাকি অর্থাৎ ( 686-277.4 ) K.Cal = 408.6 K.Cal তাপশক্তিরূপে নির্গত হয় । অর্থাৎ সবাত শ্বসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন শক্তির 60 % তাপশক্তিরূপে নির্গত হয় এবং 40 % রাসায়নিক শক্তিরূপে ATP অণুতে আবদ্ধ হয় ।

আরো পড়ুন : শ্বসনের গুরুত্ব বা তাৎপর্য

সালোকসংশ্লেষ এবং শ্বসনের মধ্যে সম্পর্ক 

error: Content is protected !!