পরবর্তী বৈদিক যুগের আর্যদের সামাজিক জীবন
Contents
পরবর্তী বৈদিক যুগের আর্যদের সামাজিক জীবন
পরবর্তী বৈদিক যুগে আর্যদের সামাজিক জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটেছিল , যেমন—
বর্ণভেদ প্রথায় কঠোরতা আরোপ
এ যুগে বর্ণভেদ প্রথা ঋক বৈদিক যুগের তুলনায় অনেক কঠোর আকার ধারণ করে । বর্ণ প্রথা বৃত্তি ভিত্তিক ও জন্মগত হয়ে দাঁড়ায় ।
উপবর্ণের উদ্ভব
পরবর্তী বৈদিক যুগে ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয় , বৈশ্য ও শূদ্র — এই চারটি প্রধান বর্ণ ছাড়াও বেশ কিছু উপবর্ণের উদ্ভব হয়েছিল । বিবাহের নিয়মকানুনে পরিবর্তন এবং পেশা বা বৃত্তি ভিত্তিক কারণেও উপবর্ণগুলির উদ্ভব হয়েছিল বলে মনে করা হয় ।
বৈশ্য ও শূদ্রের মর্যাদা হ্রাস
বৈশ্যের মর্যাদা কমলেও শূদ্রের অবস্থা হয়েছিল সবচেয়ে করুণ — তাকে অপবিত্র , অস্পৃশ্য বলে মনে করা হত ।
দুই স্বতন্ত্র ও স্বাধীনচেতা জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব
পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে ব্রাত্য ও নিষাদ নামে দুটি জনগোষ্ঠীর উল্লেখ আছে । ব্রাত্যরা আর্য , আর নিষাদরা ছিল অনার্য । উভয়েই পশুপালন ও খাদ্য সংগ্রহের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করত ।
নারীর মর্যাদা হ্রাস
পরবর্তী বৈদিক সমাজে নারীর মর্যাদার হ্রাস হয়েছিল । পারিবারিক জীবনে , ধর্মাচরণে ও বিবাহের নতুন নিয়মকানুনের বাঁধনে তাদের অধিকারকে বিশেষভাবে সংকুচিত করা হয়েছিল । সমাজে বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহের প্রচলন বেড়েছিল ।
খাদ্য ও পরিধেয়
পরবর্তী বৈদিক যুগে গমের মতো চাল একটি প্রধান খাদ্যে পরিণত হয় । মাংস খাওয়ার অভ্যাস কিছুটা কমে যায় । সুতি কাপড়ের সঙ্গে রেশমের ব্যবহার বৃদ্ধি পায় । এ ছাড়া এই সময় থেকে ‘ বাস ’ ও ‘ অধিবাসে’র সঙ্গে ‘ নীবি ’ -র ব্যবহারের প্রচলন ঘটে ।
আরো পড়ুন : ঋক বৈদিক যুগে আর্যদের সামাজিক জীবন