ঋক বৈদিক যুগের প্রধান দেবদেবী
ঋক বৈদিক যুগের প্রধান দেবদেবী
ঋক বৈদিক যুগের প্রথম দিকে আর্যদের প্রধান দুই দেবদেবী ছিলেন দৌঃ ও পৃথ্বী — দৌঃ ছিলেন আকাশের দেবতা , তাঁকে দেবতাদের পিতা এবং পৃথ্বীকে সমস্ত দেবতা ও প্রাণীকুলের মাতা বলে মনে করা হত । পরবর্তীকালে এঁরা দুজনেই গুরুত্ব হারান এবং এঁদের স্থান গ্রহণ করেন ইন্দ্র , অগ্নি ও বরুণের মতো দেবতারা ।
ঋক বৈদিক যুগের দেবীদের মধ্যে অদিতি , পৃথিবী , ঊষা , রাত্রি , অরণ্যানী ও সরস্বতীর নাম করা যায় । ঋক বৈদিক দেবতাদের দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায় —
বাসস্থানের বিচারে দেবতাদের শ্রেণিবিভাগ
দ্যুলোক বা আকাশের দেবতা— দৌঃ , বরুণ , মিত্র , সূর্য , বিষ্ণু ;
অন্তরিক্ষ বা বায়ুমণ্ডলের দেবতা — ইন্দ্র , পর্জন্য , রুদ্র , মরুৎ ;
ভূলোক বা পৃথিবীর দেবতা — অগ্নি ও সোম ।
স্তোত্র সংখ্যার বিচারে দেবতাদের শ্রেণিভাগ
ঋগ্বেদে সব দেবতার উদ্দেশে সমান সংখ্যক স্তোত্র উৎসর্গ করা হয়নি ; উৎসর্গীকৃত স্তোত্র সংখ্যার বিচারে দেবতাদের ক্রমপর্যায়গুলি হল এইরকম—
ইন্দ্র : যুদ্ধের দেবতা রূপে ইনি দেবতাদের অসুরদের হাত থেকে রক্ষা করেন এবং আবহ দেবতা হিসেবে পৃথিবীতে বৃষ্টি ও আলো এনে ধরিত্রীকে রক্ষা করেন ;
অগ্নি : দেবতা ও মানুষের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী এই দেবতা যজ্ঞে পূজিত হন ;
বরুণ : ইনি পাপ-পুণ্যের ধারক ও বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শৃঙ্খলারক্ষাকারী দেবতা ;
সোম : সোম নামক মাদক লতাগুল্মের দেবতা ইনি ।
এ ছাড়া ঋক বৈদিক অন্যান্য দেবতাদের মধ্যে মিত্র , মরুৎ , পর্জন্য , সূর্য , যম , বায়ু এবং রুদ্র প্রমুখের নাম করা যায় ।
আরো পড়ুন : বৈদিক যুগের ধর্মীয় জীবন