পরবর্তী বৈদিক যুগে নারীদের সামাজিক অবস্থান
Contents
পরবর্তী বৈদিক যুগে নারীদের সামাজিক অবস্থান
ঋক বৈদিক যুগের তুলনায় পরবর্তী বৈদিক যুগে নারীর সামাজিক মর্যাদা নিঃসন্দেহে অনেক হ্রাস পেয়েছিল ।
কন্যা সন্তানের প্রতি অনীহা
পরিবারে কন্যা সন্তানের জন্ম কেউ চাইত না । অনেক ক্ষেত্রে তাদের সম্পত্তির অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হত ।
ধর্মাচরণে নারীর অধিকার সংকোচন
ঋক বৈদিক যুগে গৃহের যেসব ধর্মীয় ক্রিয়াকর্ম স্ত্রীই পরিচালনা করতেন , পরবর্তী বৈদিক যুগে সেইসব কাজের দায়িত্ব পুরোহিত শ্রেণির হাতে চলে যায় ।
রাজনৈতিক অধিকার হ্রাস
ঋক বৈদিক যুগে নারীরা সভার অধিবেশনে যোগ দিত । কিন্তু মৈত্রায়ণী সংহিতা থেকে জানা যায় , পরবর্তী বৈদিক যুগে তাঁদের সেই অধিকার খর্ব করা হয় ।
বিবাহ রীতির পরিবর্তনে নারীর অধিকারে কোপ
পরবর্তী বৈদিক যুগে বাল্যবিবাহ , পুরুষের বহুবিবাহ ও পণপ্রথা নারীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে । রাজপরিবারে বহুবিবাহের ফলে মহিষী অর্থাৎ প্রধান রানি এবং বাবাতা অর্থাৎ রাজার প্রিয়তমা বাদে বাকি রানিরা ছিলেন অবহেলা ও অনাদরের পাত্রী ।
শিক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েদের ভূমিকা
নারীদের কাছে শিক্ষার দ্বার কিছুটা সংকুচিত হলেও সম্পূর্ণ রুদ্ধ হয়ে যায়নি । সেই যুগে গার্গী ও মৈত্রেয়ী উচ্চশিক্ষায় পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন । বহু নারী দর্শন ও ধর্মতত্ত্বের চর্চায় জীবন অতিবাহিত করতেন । তাঁদের বলা হত ব্রহ্মবাদিনী , আর যাঁরা বিয়ের পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যাভ্যাস করতেন , তাঁদের বলা হত সদ্যোদ্বাহা ।
আরো পড়ুন : ঋক বৈদিক যুগে আর্যদের সামাজিক জীবন