ইতিহাস

হীনযান ও মহাযান এর পার্থক্য

হীনযান ও মহাযান এর পার্থক্য

চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ‘ হীনযান ’ ও ‘ মহাযান ‘ — এই দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে যান । হীনযান ও মহাযান মতবাদের কয়েকটি লক্ষণীয় পার্থক্য হল— 

( 1 ) হীনযানীরা বুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ন ও প্রতীককে শ্রদ্ধা করতেন ; কিন্তু মহাযানীরা বুদ্ধদেবের মূর্তি পূজায় বিশ্বাসী ছিলেন । 

( ii ) হীনযান মতে স্বর্গ ও ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়নি । পক্ষান্তরে মহাযানীরা বুদ্ধকে ঈশ্বরের , আসনে বসিয়েছিলেন । 

( iii ) হীনযানীদের মূল আদর্শ ছিল ‘ অর্হৎযান ’ , অর্থাৎ ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মুক্তি লাভ করা । মহাযানীরা মনে করতেন যে কেবল ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা দ্বারা মুক্তি লাভ সম্ভব নয় , মুক্তি লাভের জন্য প্রয়োজন বুদ্ধের প্রতি ঐকান্তিক ভক্তি । 

( iv ) হীনযান মতে , ‘ পারমিতা ’ ( দশটি বিশেষ গুণ ) দ্বারা কেবল বুদ্ধই বোধিসত্ত্ব লাভ করতে সক্ষম । কিন্তু মহাযানীরা মনে করেন যে , যে কোনো মানুষের পক্ষে ‘ পারমিতা ’ অনুশীলন দ্বারা বোধিসত্ত্ব অর্জন করা সম্ভব । 

( v ) মহাযানীরা মূলত সংস্কৃতে তাঁদের প্রচার চালাতেন । অন্যদিকে হীনযানীরা সাধারণ মানুষের ভাষা পালিতে নিজেদের মত প্রকাশ করতেন ।

*** পারমিতা বা দশটি বিশেষ গুণ হল — দান , শীল , বীর্য , ক্ষান্তি , ধ্যান , প্রজ্ঞা , উপায় , কৌশল্যা , প্রণিধান ও জ্ঞান । বুদ্ধের পূর্ববর্তী জন্মের ( বোধিসত্ত্ববাদ ) ওপর ভিত্তি করে পারমিতা তত্ত্ব রচিত হয় ।

আরো পড়ুন : গৌতম বুদ্ধের জীবনী ও বাণী

প্রতিবাদী ধর্ম আন্দোলনের কারণ

বৌদ্ধ ধর্ম ও জৈন ধর্মের মধ্যে পার্থক্য

মহাবীরের জীবনী ও তাঁর শিক্ষা

error: Content is protected !!