ভুট্টা বীজের গঠন
ভুট্টা বীজের গঠন
ভুট্টার প্রতিটি বীজ বা দানা এক একটি ফল । ভুট্টাদানার ফলত্বক ও বীজত্বক আলাদা থাকে না ; এই কারণে ভুট্টা বীজকে বীজ না বলে দানা ( grain ) বলে । ভুট্টা বীজ একবীজপত্রী ও সস্যল ।

ভুট্টাদানা আয়তাকার , চ্যাপটা ও ওপরের দিক চওড়া এবং নীচের দিক কিছুটা সরু । ভুট্টা দানার চ্যাপটা দিকের সামান্য উঁচু লম্বালম্বি অঞ্চলকে ডেল্টয়েড অঞ্চল ( deltoid zone ) বলে ।
ভুট্টা বীজ দুটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত , যথা— সংযুক্ত ফলত্বক ও বীজত্বক এবং অন্তর্বীজ ।
সংযুক্ত ফলত্বক ও বীজত্বক ( United fruit coat and seed coat )
ভুট্টা দানা প্রকৃতপক্ষে একটি একবীজপত্রী ফল । এদের ফলত্বক ও বীজত্বক একত্রে সংযুক্তভাবে অবস্থিত । উভয় ত্বক একত্রে সোনালি রঙের আবরণ সৃষ্টি করেছে ।
কাজ : অন্তর্বীজকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে ।
অন্তর্বীজ ( Kernel )
এটি সংযুক্ত ফলত্বক ও বীজত্বকে ঢাকা ভুট্টা দানার সমগ্র অংশ । এটি সস্য ও ভ্রূণ নিয়ে গঠিত ।
i. সস্য ( endosperm ) : ভুট্টাদানার ডেল্টয়েড অঞ্চল বরাবর দানাটিকে দু-ভাগে ভাগ করলে একপাশে ছোট্ট ভ্রুণ এবং ভ্রূণের বাইরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সস্য অবস্থিত । সস্য ও ভ্রূণ পরস্পর এপিথিলিয়াম স্তর দিয়ে আলাদা থাকে । সস্য থাকায় ভুট্টা বীজ সস্যল বীজ ।
কাজ : সস্যে সঞ্চিত খাদ্য ( শ্বেতসার ) অঙ্কুরোদ্গমের সময় শিশু উদ্ভিদকে সরবরাহ করে ।
ii. ভ্ৰূণ ( Embryo ) : ভুট্টার ভ্রুণ বীজপত্র ও ভ্রূণাক্ষ নিয়ে গঠিত ।
বীজপত্র ( Cotyledon ) : ভুট্টার বীজে একটি মাত্র বীজপত্র থাকে । বীজপত্রটি দেখতে বর্মের মতো । তাই বীজপত্রটিকে স্কুটেলাম ( scutellum ) বলে ।
কাজ : বীজপত্র সস্য থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে শিশু উদ্ভিদকে সরবরাহ করে ।
ভ্রূণাক্ষ ( Embryo – axis ) : এটি স্কুটেলামের একপাশে সংলগ্ন থাকে । এর ওপরের অংশকে ভ্ৰূণমুকুল এবং নীচের অংশকে ভ্রূণমূল বলে । ভ্রূণমূল ভ্ৰূণমূলাবরণী বা কোলিওরাইজা ( coleorhiza ) দিয়ে ঢাকা থাকে এবং ভূণমুকুল ভ্রূণমুকুলাবরণী বা কোলিওপটাইল ( coleoptile ) দিয়ে ঢাকা থাকে ।
কাজ : ভ্রূণাক্ষের ভ্রূণমূল শিশু উদ্ভিদের প্রাথমিক মূল এবং ভ্রূণমুকুল শিশু উদ্ভিদের বিটপ গঠন করে ।
আরো পড়ুন : ছোলা বীজের গঠন