বীজ কাকে বলে
Contents
বীজ কাকে বলে
বীজত্বক দ্বারা আবৃত নিষিক্ত , পরিণত এবং পরিপক্ব ডিম্বক , যা নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয় , তাকে বীজ বলে ।
বীজের প্রকারভেদ ( Types of Seeds )
বীজপত্রের সংখ্যা এবং সস্যের উপস্থিতি অনুসারে বীজকে ভাগ করা হয় ।
বীজপত্রের সংখ্যা অনুসারে :
বীজপত্রের সংখ্যা অনুযায়ী বীজ তিন প্রকার । যথা—
একবীজপত্রী বীজ ( Monocotyledonous seed )
যেসব বীজে একটিমাত্র বীজপত্র থাকে , তাদের একবীজপত্রী বীজ বলে । যেমন — ধান ( Oryza sativa ) , গম ( Triticum aestivum ) , ভুট্টা ( Zea mays ) , নারকেল ( Cocos nucifera ) ইত্যাদি ।
দ্বিবীজপত্রী বীজ ( Dicotyledonous seed )
যেসব বীজে দুটি বীজপত্র থাকে , তাদের দ্বিবীজপত্রী বীজ বলে । যেমন — ছোলা ( Cicer arietinum ) , মটর ( Pisum sativum ) , কুমড়ো , রেড়ি ( Ricinus communis ) ইত্যাদি ।
বহুবীজপত্রী বীজ ( Polycotyledonous seed )
যেসব বীজে দুটির বেশি বীজপত্র থাকে , তাদের বহুবীজপত্রী বীজ বলে । যেমন — পাইন ( Pinus roxburghii ) |
সস্যের উপস্থিতি অনুসারে :
সস্যের উপস্থিতি অনুসারে বীজ দু – প্রকারের , যথা—
সস্যল বীজ ( Endospermic or Albuminous seed )
যেসব বীজের বীজপত্রের বাইরে সস্য সঞ্চিত থাকে , তাদের সস্যল বীজ বলে । উদাহরণ — ধান , গম , ভুট্টা প্রভৃতি একবীজপত্রী সস্যল বীজ এবং রেড়ি , শালুক , পাট প্রভৃতি দ্বিবীজপত্রী সস্যল বীজ ।
অসস্যল বীজ ( Non – endospermic or Exalbuminous seed )
যেসব বীজে সস্য সঞ্চিত থাকে না , তাদের অসস্যল বীজ বলে । উদাহরণ — ছোলা , মটর , আম ইত্যাদি অধিকাংশ দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের বীজ এবং ওল , অ্যালিসমা প্রভৃতি একবীজপত্রী উদ্ভিদের বীজ ।
আরো পড়ুন : একবীজপত্রী উদ্ভিদের কান্ডের অন্তর্গঠন
একবীজপত্রী উদ্ভিদের মূলের অন্তর্গঠন
দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতার প্রস্থচ্ছেদ