কেলাসন কাকে বলে
কেলাসন কাকে বলে
যে পদ্ধতিতে কোনো পদার্থের দ্রবণ থেকে ওই পদার্থের কেলাস পাওয়া যায় সেই পদ্ধতিকে অর্থাৎ যে পদ্ধতিতে কেলাস প্রস্তুত করা হয় তাকে কেলাসন বলে ।
নানা রকম পদ্ধতিতে এই কেলাস তৈরি করা যায় । যেমন—
( i ) কোনো পদার্থের উত্তপ্ত সম্পৃক্ত দ্রবণকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা করে ,
( ii ) অসম্পৃক্ত দ্রবণকে ধীরে ধীরে বাষ্পীভূত করে ,
( iii ) সম্পৃক্ত দ্রবণের মধ্যে দ্রাবের ছোটো কেলাস সুতোর সাহায্যে ঝুলিয়ে দিয়ে ,
( iv ) গলিত পদার্থকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা করে ,
( v ) আয়োডিন , কর্পূর ইত্যাদি জাতীয় পদার্থের ঊর্ধ্বপাতন করে পদার্থের কেলাস গঠন করা যায় ।
কেলাসন এর ব্যবহার
( i ) কোনো কেলাসিত কঠিন পদার্থে অশুদ্ধি মিশ্রিত থাকলে পদার্থটিকে দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় এনে পুনরায় কেলাসিত করলে অশুদ্ধি পৃথক হয়ে যায় । একে পুনঃ কেলাসন পদ্ধতি বলে ।
( ii ) একই দ্রাবকের মধ্যে বিভিন্ন দ্রাব্যতা বিশিষ্ট দুই বা ততোধিক কঠিন পদার্থ দ্রবীভূত থাকলে কেলাসনের মাধ্যমে পদার্থগুলিকে পৃথক করা যায় । এই পদ্ধতিকে আংশিক কেলাসন বলে । যেমন — কপার সালফেট ও সোডিয়াম নাইট্রেটের গাঢ় উত্তপ্ত জলীয় দ্রবণকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা করলে প্রথমে অপেক্ষাকৃত কম দ্রাব্যতা যুক্ত কপার সালফেটের নীল রঙের কেলাস অধঃক্ষিপ্ত হয় । ফিল্টার করে এই কেলাস সংগ্রহ করার পর দ্রবণটিকে আরও ঠান্ডা করলে সোডিয়াম নাইট্রেটের সাদা কেলাস পাওয়া যায় ।