অতিপৃক্ত দ্রবণ কাকে বলে

অতিপৃক্ত দ্রবণ কাকে বলে

কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোনো দ্রবণে সম্পৃক্ত অবস্থায় যে পরিমাণ দ্রাব থাকা প্রয়োজন কোনো বিশেষ অবস্থায় ওই দ্রবণে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ দ্রাব দ্রবীভূত থাকলে অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায় সম্পৃক্ত দ্রবণে যে পরিমাণ দ্রাব দ্রবীভূত থাকা প্রয়োজন , কোনো বিশেষ অবস্থায় ওই দ্রবণে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ দ্রাব দ্রবীভূত থাকলে , সেই দ্রবণকে অতিপৃক্ত দ্রবণ বলা হয় ।

এই দ্রবণ খুবই অস্থায়ী ; একটু নাড়াচাড়া করলে বা দ্রবণের মধ্যে আরও একটু দ্রাব যোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে দ্রবণ থেকে বাড়তি দ্রাব আলাদা হয়ে পড়ে । 

অতিপৃক্ত দ্রবণ এর উদাহরণ :

একটি টেস্ট টিউবের মধ্যে খানিকটা হাইপো অর্থাৎ সোডিয়াম থায়োসালফেট কেলাস ( Na2S2O3 , 5H2O ) নিয়ে গরম করা হলে কেলাস গলে তরলে পরিণত হয় । কেলাসের মধ্যে যে কেলাস জল থাকে তাতেই সোডিয়াম থায়োসালফেট দ্রবীভূত হয়ে এই দ্রবণ উৎপন্ন করে । এবার টেস্ট টিউবের মুখ তুলো দিয়ে বন্ধ করে এবং টিউবকে না নাড়িয়ে দ্রবণকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা করলে দেখা যাবে যে ঘরের উষ্ণতাতেও সোডিয়াম থায়োসালফেট তরল অবস্থাতেই আছে । এই অবস্থায় দ্রবণটি হল সোডিয়াম থায়োসালফেটের অতিপৃক্ত দ্রবণ । একটু নাড়াচাড়া করলে বা টেস্ট টিউবের মধ্যে দু-এক দানা সোডিয়াম থায়োসালফেট কেলাস ফেলে দিলে দেখা যায় যে সমস্ত দ্রবণ সঙ্গে সঙ্গে কঠিন হয়ে যায় ।

error: Content is protected !!