সম্পৃক্ত দ্রবণ কাকে বলে

সম্পৃক্ত দ্রবণ কাকে বলে 

কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবকে সর্বাধিক যে পরিমাণ দ্রাব দ্রবীভূত হতে পারে অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবকের মধ্যে সর্বাধিক পরিমাণ দ্রাব দ্রবীভূত হয়ে যে দ্রবণ উৎপন্ন হয় , তাকে ওই উষ্ণতায় ওই দ্রাবের সম্পৃক্ত দ্রবণ বলা হয় ।

সম্পৃক্ত দ্রবণ এর উদাহরণ : 

ঘরের উষ্ণতায় এক গ্লাস জলে অল্প অল্প করে চিনি মিশিয়ে নাড়তে থাকলে এমন এক সময় আসে যখন চিনি আর দ্রবীভূত হয় না , থিতিয়ে নীচে পড়ে যায় । এই অবস্থায় অদ্রবীভূত চিনির উপর যে সমসত্ত্ব দ্রবণ তৈরি হল তা ঘরের উষ্ণতায় একটি সম্পৃক্ত দ্রবণ । উষ্ণতা বাড়লে দ্রাবকের দ্রাব দ্রবীভূত করার ক্ষমতা বাড়েফলে কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতার সম্পৃক্ত দ্রবণের উষ্ণতা বাড়ালে এটি অসম্পৃক্ত হয়ে পড়ে । আবার , অসম্পৃক্ত দ্রবণকে ঠান্ডা করে সম্পৃক্ত দ্রবণ তৈরি করা যায় । 

সাধারণ উষ্ণতায় তুঁতের সম্পৃক্ত দ্রবণ প্রস্তুতি 

পরীক্ষা – ধাপ 1 : একটি বিকারে ঘরের উষ্ণতায় কিছু জল নিয়ে তাতে অল্প অল্প করে তুঁতে মিশিয়ে একটি কাচদণ্ড দিয়ে নাড়া হল । 

পর্যবেক্ষণ : প্রথম দিকে তুঁতে খুব তাড়াতাড়ি জলে দ্রবীভূত হয়ে গেল । 

পরীক্ষা – ধাপ 2 : আস্তে আস্তে তুঁতের পরিমাণ বাড়ানো হল । 

পর্যবেক্ষণ : একসময় দেখা যাবে তুঁতে আর দ্রবীভূত হচ্ছে না । বিকারের তলদেশে অদ্রবীভূত অবস্থায় জমা হচ্ছে । এই অবস্থায় বিকারের ওপরের অংশে পরিষ্কার নীল দ্রবণটি হল ঘরের উষ্ণতায় তুঁতের সম্পৃক্ত দ্রবণ । 

সংগ্রহ : এরপর ফিলটার কাগজের সাহায্যে দ্রবণটিকে পরিস্রাবণ করে পরিস্রুতটিকে একটি পাত্রে সংগ্রহ করা হল । ওই পরিকৃত দ্রবণটি হল ঘরের উষ্ণতায় তুঁতের সম্পৃক্ত দ্রবণ ।

error: Content is protected !!