জারণ কাকে বলে
জারণ কাকে বলে
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো মৌল বা যৌগে অক্সিজেন বা অন্য কোনো তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল বা মূলক যুক্ত হয় বা এদের অনুপাত বৃদ্ধি পায় , অথবা কোনো যৌগ থেকে হাইড্রোজেন বা অন্য কোনো তড়িৎ ধনাত্মক মৌল বা মূলক অপসারিত হয় বা এদের অনুপাত হ্রাস পায় , সেই বিক্রিয়াকে জারণ বলে ।
জারণ এর উদাহরণ :
i. অক্সিজেনের সংযোজন দ্বারা জারণ : ম্যাগনেশিয়াম ধাতুকে বাতাসে বা অক্সিজেনে উত্তপ্ত করলে ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড উৎপন্ন হয় ।

এই বিক্রিয়ায় ম্যাগনেশিয়াম মৌলের সঙ্গে অক্সিজেন যুক্ত হয়েছে । সুতরাং , এটি জারণ ক্রিয়া । জারক অক্সিজেন দ্বারা ম্যাগনেশিয়াম জারিত হয়েছে ।
ii. তড়িৎ ঋণাত্মক মৌলের সংযোজন দ্বারা জারণ : বর্ণহীন ফেরাস ক্লোরাইড দ্রবণের মধ্য দিয়ে ক্লোরিন গ্যাস চালনা করলে হলুদ বর্ণের ফেরিক ক্লোরাইড উৎপন্ন হয় ।

এই বিক্রিয়ায় FeCl2 এর সঙ্গে তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল ক্লোরিন যুক্ত হয়ে উৎপন্ন FeCl3 তে ক্লোরিনের অনুপাত বৃদ্ধি করেছে । সুতরাং , এটি জারণ ক্রিয়া । জারক ক্লোরিন দ্বারা FeCl2 জারিত হয়ে FeCl3 তে পরিণত হয়েছে ।
iii. হাইড্রোজেনের অপসারণ দ্বারা জারণ : হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডকে ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইডের সঙ্গে উত্তপ্ত করলে সবুজাভ হলুদ বর্ণের ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন হয় ।

এই বিক্রিয়ায় HCI থেকে হাইড্রোজেন অপসারিত হয়ে ক্লোরিন উৎপন্ন হয়েছে । সুতরাং , এটি জারণ ক্রিয়া । জারক MnO2 দ্বারা HCI জারিত হয়েছে ।
iv. তড়িৎ ধনাত্মক মৌলের অপসারণ দ্বারা জারণ : পটাশিয়াম আয়োডাইডের সঙ্গে ক্লোরিনের বিক্রিয়ায় পটাশিয়াম ক্লোরাইড এবং আয়োডিন উৎপন্ন হয় ।

এই বিক্রিয়ায় ক্লোরিন KI থেকে তড়িৎ ধনাত্মক মৌল পটাশিয়ামকে অপসারণ করে I2 মুক্ত করে । সুতরাং , এটি জারণ ক্রিয়া । জারক ক্লোরিন KI কে I2 এ জারিত করে ।