তড়িৎ যোজ্যতা কাকে বলে
তড়িৎ যোজ্যতা কাকে বলে
রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের পরমাণুর মতো সুস্থিত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের চেষ্টায় কোনো মৌলের পরমাণু ওর সর্ববহিস্থ কক্ষের সমস্ত ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়নে ( ক্যাটায়ন ) এবং অপর মৌলের পরমাণু ওই বর্জিত ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়নে ( অ্যানায়ন ) পরিণত হলে বিপরীত তড়িৎধর্মী আয়ন দুটি পরস্পরকে আকর্ষণ করে । ফলে তারা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অণু গঠন করে । এইরূপ ইলেকট্রন আদান প্রদানের মাধ্যমে যৌগ অণু গঠনের ক্ষমতাকে তড়িৎ যোজ্যতা বলে ।
তড়িৎ যোজ্যতার উদাহরণ :

সোডিয়াম ক্লোরাইড ( NaCl ) গঠন — সোডিয়াম (11Na23) এবং ক্লোরিন (17Cl35) পরমাণুর রাসায়নিক সংযোগে সোডিয়াম ক্লোরাইড গঠনের সময় সোডিয়াম পরমাণু তার সবচেয়ে বাইরের কক্ষের একটি ইলেকট্রন বর্জন করে Na+ আয়নে পরিণত হয় এবং সুস্থিত নিয়ন গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে । সঙ্গে সঙ্গে ক্লোরিন পরমাণু ওই বর্জিত ইলেকট্রনটি সর্বশেষ কক্ষে গ্রহণ করে সুস্থিত আর্গন গ্যাসের মতো ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে এবং Cl― আয়নে পরিণত হয় । এবার , Na+ এবং Cl− আয়ন পারস্পরিক তড়িৎ আকর্ষণের ফলে যুক্ত হয়ে NaCl অণু গঠন করে ।
সুতরাং , NaCl একটি তড়িৎযোজী যৌগ । সোডিয়াম পরমাণু একটি ইলেকট্রন বর্জন করায় এবং ক্লোরিন পরমাণু সেই ইলেকট্রনটি গ্রহণ করায় উভয়েরই তড়িৎ যোজ্যতা হয় 1 ।