রাস্তায় শরবত খাওয়া কি উচিত
রাস্তায় শরবত খাওয়া কি উচিত
গরমের দিনে পথে সরবৎ খাওয়ার খুব ইচ্ছে হয় । চাকাওয়ালা চৌকো কাঠের ঠেলার উপরে নানা রং মেশানো সিরাপ রাখা আছে বোতলে , সারি সারি দেখতে ভাল লাগে । বরফে সেই সিরাপ ঢেলে কাঠিতে জুড়ে বিক্রেতা তা তুলে দিচ্ছে তৃষ্ণার্ত এর হাতে , না হলে কাচের গেলাসে বরফ মেশানো সিরাপ দেওয়া সরবৎ , খেতে ভাল লাগে ।
কিন্তু তৃষ্ণা নিবারণের জন্যে এখানে হাত বাড়ানো কি উচিত হবে ? উচিত যে হবে না , এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় । কেন হবে না ?
প্রথম কারণ , এই সব সরবৎ বা তার উপকরণ যথেষ্ট স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে রাখা হয় না । খোলা জায়গায় আঢাকা অবস্থায় ধূলো ময়লা ভরা পরিবেশের মধ্যে এই সরবৎ তৈরি । এই ধরণের পানীয়ের দিকে হাত না বাড়ানোর জন্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশই যথেষ্ট বড় কারণ এবং রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ ; কিন্তু তবুও তা মেনে নেওয়া যায় এইটুকু ভেবে যে , আমরা তো সংক্রামক ব্যাধি নিয়ে ঘর করি ।
কিন্তু যেখানে বিষাক্ত জিনিস তুলে দেওয়া হচ্ছে তৃষ্ণাতের হাতে এবং তা শুধু অকারণে চোখ বা মনকে তৃপ্ত করবার জন্যে , সে ক্ষেত্রে কি করণীয় ?
বিষাক্ত পদার্থটি আসছে রংয়ের মাধ্যমে । অশিক্ষিত বিক্রেতা সব সময়ে জানেও না যে , এই রংটি বিষাক্ত । ফলে কোথাও তার রং মেশানো নেহাৎ অজ্ঞতাবশত কিন্তু যেখানে সে জেনে শুনে বিষাক্ত রংটি ব্যবহার করে সেখানে তার অপরাধের তুলনা নেই ।
বিভিন্ন রংয়ের বোতলের মধ্যে বেশি দেখা যায় গোলাপের পাপড়ির মত এক রকমের রং — সূর্যের আলো পড়লে যা বেশি ঝকঝক করে । এই রংটির দিকেই ক্রেতাদের দৃষ্টি বেশি পড়ে । এটি হল রোডামিন B ।
এই রোডামিন B খাদ্যে ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । এটিতে শরীরে কারসিনোজেনিক বিক্রিয়া দেখা দেয় যা ক্যানসার রোগ নিয়ে আসতে পারে ।
এই রং খাদ্যে ব্যবহারের পক্ষে অননুমোদিত রং । কিন্তু খাদ্যে নিয়ে আসা যায় এমন বিকল্প অনুমোদিত রংও আছে । কিন্তু তার দাম অনেক বেশি ।
তাছাড়া কজন বিক্রেতাই বা জানে , এই রংটি বিষাক্ত এবং বেশি মূল্যে একটা অনুমোদিত বিকল্প রং বাজারে পাওয়া যায় ?