রাষ্ট্র বিজ্ঞান

রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রতত্ত্ব

রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রতত্ত্ব

রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের অনেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিবর্তে ‘ রাষ্ট্রতত্ত্ব ‘ ( Political Theory ) নামকরণের পক্ষপাতী । রাষ্ট্রতত্ত্ব বলতে রাষ্ট্রনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন ধারণা ও সমস্যাদি সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাকে বোঝায় । এই সমস্ত তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ রাষ্ট্রদর্শনের আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত । রাষ্ট্রের উৎপত্তি এবং প্রকৃতি সম্পর্কিত হেগেলীয় ও মার্কসীয় তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা ওই দুই দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গীর বিশেষ প্রয়োগ হিসাবে গণ্য হয় । 

রাষ্ট্রতত্ত্বও হল রাষ্ট্রবিজ্ঞানেরই অংশ । রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনা শুধু তত্ত্বগত বিচার বিশ্লেষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় । তাত্ত্বিক আলোচনা ছাড়াও রাষ্ট্রভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার ঘটনাবলীর বর্ণনামূলক ঐতিহাসিক আলোচনাও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে থাকে । রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটা বর্ণনামূলক বা ব্যবহারিক দিক আছে । রাষ্ট্রতত্ত্বের তা নেই । আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনাক্ষেত্র অত্যন্ত ব্যাপক । রাষ্ট্রতত্ত্ব নামকরণের মাধ্যমে এই আলোচনাক্ষেত্রের পরিচয় পাওয়া যাবে না । রাষ্ট্রতত্ত্ব শব্দটির দ্বারা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সামগ্রিক রূপটি ব্যক্ত হয় না । অর্থাৎ আলোচ্য শাস্ত্রটিকে রাষ্ট্রতত্ত্বের পরিবর্তে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলাই অধিকতর যুক্তিসঙ্গত মনে হয় ।

error: Content is protected !!