ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার
Contents
ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার
ঊনবিংশ শতকে ভারতীয় নবজাগরণের অন্যতম প্রধান কারণ হল পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার । সাধারণভাবে অষ্টাদশ শতককে ভারতের ইতিহাসের ‘ অন্ধকার যুগ’বলে অনেকে অভিহিত করে থাকেন । বস্তুত মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর ভারতের রাজনৈতিক জীবনে যে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছিল , তার প্রভাব ছিল সর্বব্যাপী । তখন ভারতবাসীর ধ্যান-জ্ঞান-কর্মে এক অভূতপূর্ব অবক্ষয়ের সূচনা হয়েছিল ।
প্রাচীনপন্থী শিক্ষা ব্যবস্থা এবং কুসংস্কারের প্রতি সমস্ত শ্রেণির মানুষের গভীর আস্থা ভারতবাসীকে গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল । তখন শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ছিল পাঠশালা , টোল , মক্তব , মাদ্রাসা ইত্যাদি । প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হত পাঠশালায় । উচ্চশিক্ষার জন্য ছিল টোল । এই সকল হিন্দু শিক্ষালয়ে পুরাণ , দর্শন , তর্কশাস্ত্র , চিকিৎসাবিদ্যা ইত্যাদির পঠনপাঠন হত । মক্তব ও মাদ্রাসার কোরান ভিত্তিক শিক্ষাচর্চা হত । এ ছাড়া আরবি , ফারসি ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হত ।
পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের কারণ
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রথমদিকে এদেশে ইংরেজি শিক্ষার প্রসারে বিশেষ আগ্রহী ছিল না । পরন্তু তারা ভারতের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করত । কিন্তু পলাশীর যুদ্ধের পরবর্তী অর্ধ শতকে ভারতবাসীর জীবনে এক গভীর পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যায় । এই পরিবর্তন আসে ইংরেজি ভিত্তিক পাশ্চাত্য জ্ঞান বিজ্ঞানের অনুশীলনের মাধ্যমে । ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধে পাশ্চাত্য শিক্ষা ক্রমশ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকে । এর পেছনে কয়েকটি কারণ হল—
( ১ ) খ্রিস্টান মিশনারিগণ ভারতবাসীকে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত করে খ্রিস্টধর্মের প্রতি অনুরাগী করতে আগ্রহী ছিল । তাই এরা বহুসংখ্যক ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে ।
( ২ ) কোম্পানির শাসন প্রবর্তিত হওয়ার ফলে সরকারি দপ্তরে আরবি , ফারসি , সংস্কৃত প্রভৃতি ভাষার কোনো মূল্য ছিল না । তাই অষ্টাদশ শতকের শেষার্ধে ভারতীয় সমাজে নবোত্থিত মধ্যবিত্তশ্রেণি ইংরেজি ভাষা ও পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে পরিচিত হয়ে নিজেদের সামাজিক মর্যাদাকে উন্নীত করতে উদ্যোগী হয় ।
( ৩ ) কোম্পানি নিজেও ইংরেজি ভাষা শিক্ষা প্রসারে উদ্যোগী হয় , কারণ আরবি , ফারসি শিক্ষিত ভারতবাসীর দ্বারা কোম্পানির কোনো কাজ হচ্ছিল না । সামান্য করণিকদেরও ইংল্যান্ড থেকে আনাতে হচ্ছিল । এটি ছিল ব্যয়সাধ্য ব্যাপার । তাই এদেশীয়দের ইংরেজি ভাষায় শিক্ষিত করে তুলতে কোম্পানি আগ্রহী হয়েছিল ।
( ৪ ) জেম্স মিল , মেকলে প্রমুখ উদারপন্থী কিছু বিদেশি চিন্তাবিদ এবং রামমোহন রায় , রাধাকান্ত দেব প্রমুখ কিছু অগ্রণী ভারত সন্তান আন্তরিকভাবে ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের জন্য উদ্যোগ নেন ।
( ৫ ) ভারতবাসীর একটা অংশ নিজ থেকেই ইংরেজি শিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে সহায়তা করেন । ইংরেজ জনগণের সাথে মেলামেশা , তাদের সাফল্য ও অগ্রগতি ইত্যাদি থেকে এই বিশ্বাস জন্মে যে , পাশ্চাত্য শিক্ষার মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো বিশেষ শক্তি লুক্কায়িত আছে — যা ইংরেজদের সাফল্যের সহায়ক হচ্ছে ।
বেসরকারি উদ্যোগ
ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে বেসরকারি প্রচেষ্টা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । প্রকৃতপক্ষে এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের জন্য সরকারি উদ্যোগ গৃহীত হয় অনেক পরে । তার পূর্বে কিছু কিছু ব্যক্তি এবং খ্রিস্টান মিশনারিগণ এই কাজে ব্রতী হন ।
ঊনবিংশ শতকের গোড়ার দিকে শের বর্ণের নামক জনৈক অ্যাংলো ইন্ডিয়ান জোড়াসাঁকোয় একটি ইংরেজি বিদ্যালয় স্থাপন করেন । মার্কিন বোল নামক অপর একজন আমড়াতলায় আর একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন । মি. ড্রামন্ড ধর্মতলায় আর একটি স্কুল স্থাপন করেন । অবশ্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে গঠিত এইসব বিদ্যালয়ে কোনো পাঠ্যসূচি ভিত্তিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা ছিল না ।
খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রচেষ্টা
এ প্রসঙ্গে খ্রিস্টান মিশনারিদের উদ্যোগ ছিল অনেক বেশি সুনিয়ন্ত্রিত ও কার্যকরী । ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের ইতিহাসে প্রথম উল্লেখযোগ্য মিশনারি হলেন উইলিয়াম কেরি । তিনি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ‘ শ্রীরামপুর মিশন ‘ প্রতিষ্ঠা করেন । তিনি জোশুয়া মার্শম্যান এবং উইলিয়াম ওয়ার্ড -এর সহায়তায় একটি ইংরেজি বিদ্যালয় ও ছাপাখানা চালানোর কাজে ব্রতী হন । শ্রীরামপুর বিদ্যালয় এবং এঁদের প্রকাশিত ‘ Friend of India ‘ , ‘ দিগ দর্শন ’ , ‘সমাচার দর্পণ ‘ প্রভৃতি গ্রন্থ বাংলার নবজাগরণের ক্ষেত্র প্রসারিত করে ।
স্কটিশ মিশনারি সোসাইটির পাদরি আলেকজান্ডার ডাফ এদেশে ইংরেজি শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন । দীর্ঘ তিন দশক ধরে তিনি এদেশে শিক্ষাচর্চা করে যান । তার প্রতিষ্ঠিত ‘ জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন’ পরবর্তী কালে ‘ স্কটিশ চার্চ কলেজ ‘ নামে পরিচিত হয়েছে ।
ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা
অবশ্য মিশনারিদের উদ্যোগ এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে সহায়ক হলেও , এঁদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল অধিক সংখ্যক ভারতবাসীকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করা । এঁরা আধুনিকতার আলোকে ভারতবাসীর প্রাচীনপন্থী অন্ধবিশ্বাস , যুক্তিহীন রীতি নীতিকে সমালোচনা করতেন ।
সেই সময় কিছু দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ভারতবাসী কুসংস্কার মুক্ত ও আত্মনির্ভরশীল সমাজ গঠনের উদ্দেশ্যে এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে আগ্রহী হন । এঁরা পাশ্চাত্য শিক্ষাকে ব্যক্তিগত উচ্চাশা পূরণের কিংবা স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে নয় , দেশবাসীর সামগ্রিক কল্যাণ এবং অগ্রগতির বাহনরূপে স্বাগত জানিয়েছিলেন । এঁদের মধ্যে ডেভিড হেয়ার , রাজা রামমোহন রায় প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । প্রধানত ডেভিড হেয়ারের চেষ্টায় ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি ‘ ( ১৮১৭ খ্রিঃ ) এবং ‘ ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটি ’ ( ১৮১৮ খ্রিঃ ) স্থাপিত হয়েছিল । এই প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধান কাজ ছিল যথাক্রমে বিদ্যালয়ের উপযোগী পাঠ্যপুস্তক রচনা ও বিতরণ করা এবং পুরাতন বিদ্যালয়ের সংস্কার সাধন ও বিদ্যালয় স্থাপন করা ।
বাংলাদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে বিশেষ উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হল হিন্দু কলেজের প্রতিষ্ঠা । সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি স্যার হাইড ইস্ট , বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায় , ডেভিড হেয়ার প্রমুখের উদ্যোগে ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় । অনেকের মতে , রামমোহন রায়ও এই মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত ছিলেন । এই বিদ্যালয় খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং খ্যাতির শীর্ষে আরোহণ করে । বর্তমানে এটিই ‘ প্রেসিডেন্সি কলেজ ‘ নামে অভিহিত হয়েছে ।
১৮১৩ এর চার্টার অ্যাক্ট
সরকারিভাবে এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া হয় অনেক টালবাহানার পর । কোম্পানি প্রথমদিকে ভারতবাসীর শিক্ষা সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন ছিল । অনেকে এই মনোভাবের সমালোচনাও করেছেন । শেষ পর্যন্ত ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের ‘ চার্টার অ্যাক্ট ‘ -এ ভারতে শিক্ষা প্রসারের জন্য বাৎসরিক এক লক্ষ টাকা ব্যয় করার নীতি গৃহীত হয় । কিন্তু তাতেও বিশেষ উপকার হল না । কারণ এই অর্থ প্রাচ্য অথবা পাশ্চাত্য — কোন্ শিক্ষার জন্য ব্যয়িত হবে , এই প্রশ্নে মতভেদ দেখা দিল ।
ফলে পরবর্তী দশ বৎসর এই অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করা যায়নি । ইতিমধ্যে রাজা রামমোহন রায় প্রমুখ কিছু অগ্রণী ব্যক্তি বরাদ্দকৃত অর্থ পাশ্চাত্য শিক্ষায় ব্যয় করার জন্য চেষ্টা শুরু করেন । এই প্রসঙ্গে তিনি তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড আমহার্স্টকে একটি পত্র লেখেন ।
শিক্ষা বিষয়ক সংস্থা গঠন
১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষা বিষয়ক নীতি নির্ধারণ ও সরকারকে পরামর্শদানের জন্য ‘ জেনারেল কমিটি অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন ’ ( General Committee of Public Instruction ) নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয় । কিন্তু এই কমিটির সদস্যদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয় । এই কমিটির অনেকে ছিলেন প্রাচ্যবিদ্যা বিশারদ । এঁরা বরাদ্দ অর্থ প্রাচ্য শিক্ষা বিস্তারের জন্য ব্যয় করার পক্ষপাতী ছিলেন । অবশ্য কিছু সদস্য পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে মত দেন । এই মতভেদের ফলে শিক্ষা প্রসারের কাজ ব্যাহত হয় ।
সরকারি উদ্যোগে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার
লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক ভারতে গভর্নর জেনারেল রূপে এলে ( ১৮২৮ খ্রিঃ ) অবস্থার পরিবর্তন ঘটে । তিনি ব্যক্তিগত ভাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের পক্ষপাতী ছিলেন । সেই সময় পাবলিক ইন্সট্রাক্শন কমিটির সভাপতি নিযুক্ত হন টমাস মেকলে । ইনিও এদেশে পাশ্চাত্য জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসারের পক্ষপাতী ছিলেন । অবশ্য মেকলে প্রাচ্য শিক্ষা সংস্কৃতি সম্বন্ধে অতি নিচ ধারণা পোষণ করতেন , যা সমর্থনযোগ্য নয় । যাই হোক , মেকলে , বেন্টিঙ্ক এবং রামমোহন একসাথে পাশ্চাত্য শিক্ষাপ্রসারে উদ্যোগী হন ।
ওই সময় ইংল্যান্ড এর ডাইরেক্টর সভার সদস্যরাও ভারতে ইংরেজি শিক্ষা বিস্তারের পক্ষপাতী ছিলেন । অবশ্য তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল এদেশে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে কিছু সংখ্যক ‘ কেরানি ‘ তৈরি করা । ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে মেকলে প্রস্তাব করেন যে , অতঃপর পাশ্চাত্য শিক্ষাপ্রসারের জন্যই সরকারি অর্থ ব্যয় করা উচিত । তিনি লেখেন : “ All the funds at the dispoal of the Govern ment would henceforth be spent in imparting to the Indians a knowledge of English literature and science” . এই প্রস্তাব অনুযায়ী বেন্টিঙ্ক সরকারিভাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারে অর্থ ব্যয়ের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন ( ১৮৩৫ খ্রিঃ ) । এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক ও অর্থবহ ।
অতঃপর বেন্টিঙ্কের চেষ্টায় ও উদ্যোগে কলকাতায় ‘ মেডিকেল কলেজ’ও বোম্বাইতে ‘ এলফিনস্টোন কলেজ ’স্থাপিত হয় । ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে ‘ কাউন্সিল অব এডুকেশন ’ ( Council of Education ) নামে একটি সংস্থা গঠিত হয় ।
উডের ডেসপ্যাচ
লর্ড ডালহৌসীর শাসনকালে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের গতি ত্বরান্বিত হয় । তিনি ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষাপ্রসারে আগ্রহী ও উৎসাহী ছিলেন । ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে বোর্ড অব্ কন্টোলের সভাপতি স্যার চার্লস উড ( Charles Wood ) ভারতে শিক্ষা বিস্তার সম্পর্কে নীতি ঘোষণা করে এক নির্দেশপত্র প্রেরণ করেন । এটিই ‘ উডের ডেসপ্যাচ ‘ ( Wood’s Despatch ) নামে খ্যাত ।
এই নির্দেশনামা অনুসারে একটি শিক্ষা বিভাগ ( Department of Public Instruction ) স্থাপিত হয় । প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসার , স্ত্রী শিক্ষার প্রচলন , নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ( Inspection ) প্রভৃতিরও নির্দেশ দেওয়া হয় । লর্ড ডালহৌসী একে রূপায়িত করতে যত্নবান ছিলেন । ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা , মাদ্রাজ ও বোম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে এদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে জোয়ার আসে । সারা দেশ জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বহু ইংরেজি বিদ্যালয় । ধীরে ধীরে টোল , মক্তব , মাদ্রাসা ইত্যাদির গুরুত্ব হ্রাস পেতে থাকে । পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের সাথে ভারতের জনজীবনে আসে নতুন প্রাণের স্পন্দন ।