মুঘল সম্রাট ফারুকশিয়ার
মুঘল সম্রাট ফারুকশিয়ার
১৭১৩ খ্রিস্টাব্দে আজি আজিম উস সান-এর পুত্র ফারুকশিয়ার আগ্রার যুদ্ধে জাহান্দার শাহকে পরাজিত ও হত্যা করে মসনদ দখল করেন । ফারুকশিয়ারের জয়লাভের প্রধান রূপকার ছিলেন আব্দুল্লাহ খান ও হুসেন আলি খান নামক দুই ভ্রাতা । এঁরাই ইতিহাসে ‘সৈয়দ ভ্রাতৃদ্বয়’নামে বিখ্যাত হয়ে আছেন । কালক্রমে এই সৈয়দ ভ্রাতৃদ্বয় দিল্লিতে সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন এবং খুশি মতো বাদশাহ্ পরিবর্তন করতে থাকেন । তাই এঁরা রাজস্রষ্টা ( king maker ) নামে পরিচিত হন ।
ফারুকশিয়ার আবদুল্লাহ খানকে ‘ উজির ’ এবং হুসেন আলিকে ‘মীর বখশী ’ পদ দিয়ে পুরস্কৃত করেন । কিন্তু ফারুকশিয়ার ছিলেন ভীরু , অযোগ্য , দূরদৃষ্টিহীন অথচ সন্দেহপ্রবণ । এইসব দুর্বলতা সত্ত্বেও ফারুকশিয়ার বাদশার সর্বময় কর্তৃত্বের নীতি কার্যকর করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন । কিন্তু সৈয়দ ভ্রাতৃদ্বয় মনে করতেন যে , বাহাদুর শাহের পর কোনো যোগ্য বাদশাহ আসেননি । তাই তাদের হাতে ক্ষমতা থাকলেই রাজ্যের মঙ্গল হবে । ফলে অল্পকালের মধ্যেই উভয়পক্ষের মতবিরোধ তীব্র হয়ে ওঠে । ফারুকশিয়ার কুপরামর্শে পড়ে সৈয়দ ভ্রাতৃদ্বয়কে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন । ক্রুদ্ধ সৈয়দ ভ্রাতৃদ্বয় শেষ পর্যন্ত ফারুকশিয়ারকে ক্ষমতাচ্যুত করে হত্যা করেন ( ১৭১৯ খ্রিঃ ) ।