ডিএনএ কাকে বলে
ডিএনএ কাকে বলে
সজীব কোশে উপস্থিত ডি-অক্সিরাইবোজ শর্করাযুক্ত দ্বিতন্ত্রী যে নিউক্লিক অ্যাসিড সুপ্রজননশীল , পরিব্যক্তিতে সক্ষম , এবং সকল প্রকার জৈবনিক কার্য ও বংশগতির বৈশিষ্ট্যকে নিয়ন্ত্রণ করে তাকে ডিএনএ বা DNA বা ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড বলে ।
DNA বা ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিডের রাসায়নিক উপাদান :
( I ) ডি-অক্সিরাইবোজ নামক পাঁচ কার্বনযুক্ত শর্করা , ( II ) ফসফোরিক অ্যাসিড ( III ) নাইট্রোজেন যুক্ত বেস বা ক্ষার— ( i ) পিরিমিডিন ( Pyrimidine ) DNA- তন্তুতে দু – প্রকারের পিরিমিডিন থাকে— ( ক ) সাইটোসিন , ( খ ) থাইমিন । ( ii ) পিউরিন — অ্যাডেনিন এবং গুয়ানিন নামক দু প্রকার পিউরিন DNA তন্তুতে থাকে ।
ডিএনএ এর গঠন
এক অণু ডি-অক্সিরাইবোজ শর্করার সঙ্গে এক অণু পিউরিন বা পিরিমিডিন রাসায়নিক বন্ধন দ্বারা যুক্ত হয়ে গঠন করে ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিওসাইড । দুই প্রকার পিউরিন ( অ্যাডেনিন এবং গুয়ানিন ) এবং দুই প্রকার পিরিমিডিন ( সাইটোসিন এবং থাইমিন ) DNA- তে উপস্থিত থাকায় চার প্রকার ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিওসাইড গঠিত হয় , যথা— ( i ) ডিঅক্সিঅ্যাডিনোসিন , ( ii ) ডি-অক্সি গুয়ানোসিন , ( iii ) ডি-অক্সি-সাইটিডিন এবং ( iv ) ডি-অক্সি থাইমিডিন । একটি ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিওসাইড এক অণু ফসফরিক অ্যাসিডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিওটাইড গঠন করে । চার প্রকার ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিওটাইড গঠিত হয় , যথা— ( i ) ডি-অক্সি অ্যাডেনাইলিক অ্যাসিড ( dAMP ) ( ii ) ডি-অক্সিগুয়ানাইলিক অ্যাসিড ( dGMP ) ( iii ) ডি-অক্সি সাইটিডাইলিক অ্যাসিড ( dCMP ) ( iv ) ডি-অক্সি থাইমিডাইলিক অ্যাসিড ( dTMP ) । অনেকগুলি চার প্রকারের ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিওটাইড বিভিন্নক্রমে যুক্ত হয়ে একটি দীর্ঘ DNA তন্তু গঠন করে ।