প্রোক্যারিওটিক কোষ ও ইউক্যারিওটিক কোষের পার্থক্য
প্রোক্যারিওটিক কোষ ও ইউক্যারিওটিক কোষের পার্থক্য
প্রোক্যারিওটিক কোষ ও ইউক্যারিওটিক কোষের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল一
প্রোক্যারিওটিক কোষ :
( i ) কোশের অঙ্গসংস্থান অনুন্নত এবং সরল ।
( ii ) কোশে সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না অর্থাৎ নিউক্লিয়াসে নিউক্লিয় পর্দা , নিউক্লিওলাস থাকেনা , শুধুমাত্র DNA দ্বারা গঠিত নিউক্লীয় বস্তু থাকে ।
( iii ) রাইবােজোমের আয়তন অপেক্ষাকৃত কম , 70S ( 50S + 30S ) প্রকৃতির ।
( iv ) পর্দাবৃত কোশীয় অঙ্গাণু যথা – মাইটোকন্ড্রিয়া , গলগী বডি , এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা , সেন্ট্রোজোম , প্লাস্টিড প্রভৃতি থাকে না ।
( v ) এই প্রকার কোশে ক্রোমােজোম গঠিত হয় না ।
( vi ) অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে কোশ বিভাজিত হয় ।
( vii ) উদাহরণ – ব্যাকটেরিয়া , নীলাভ সবুজ শৈবাল ।
ইউক্যারিওটিক কোষ :
( i ) কোশের অঙ্গসংস্থান উন্নত এবং জটিল প্রকৃতির ।
( ii ) কোশে সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে অর্থাৎ নিউক্লীয় পর্দা , নিউক্লীয়জালিকা , নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিওপ্লাজম দ্বারা গঠিত আদর্শ নিউক্লিয়াস উপস্থিত ।
( iii ) রাইবােজোমের আয়তন অপেক্ষাকৃত বেশি 80S ( 60S + 40S ) প্রকৃতির ।
( iv ) সাইটোপ্লাজমে পর্দাবৃত কোশীয় অঙ্গাণু যথা মাইটোকন্ড্রিয়া , গলগী বডি , এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা , সেন্ট্রোজোম , প্লাস্টিড প্রভৃতি থাকে ।
( v ) এই প্রকার কোশে ক্রোমােজোম গঠিত হয় এবং ক্রোমােজোমে হিস্টোন জাতীয় ক্ষারীয় প্রােটিন থাকে ।
( vi ) প্রধানত মাইটোসিস এবং মায়ােসিস পদ্ধতিতে কোশ বিভাজিত হয় তবে কিছু ক্ষেত্রে অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে কোশ বিভাজিত হয় ।
( vii ) উদাহরণ – উন্নত উদ্ভিদ ও প্রাণী কোশ ।