জেনেটিক্স কাকে বলে
জেনেটিক্স কাকে বলে

যে নির্দিষ্ট রীতি বা নিয়ম মেনে জনিতার ( parents ) বৈশিষ্ট্য জনু থেকে জনুতে সঞ্চারিত ও প্রকাশিত হয় সেই পদ্ধতিতে বংশগতি বলে । জীববিদ্যার যে শাখায় বংশগতি বৈশিষ্ট্যের সঞ্চারন পদ্ধতি আলােচিত ও অধীত হয় তাকেই সুপ্রজনন বিদ্যা বা জেনেটিক্স বা বংশগতিবিদ্যা ( genetics ) বলে ।
জেনেটিক্স এর গুরুত্ব
সুপ্রজননবিদ্যার গবেষণালব্ধ ফলের প্রয়ােগে মানুষ তার প্রয়ােজন অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ ও প্রাণীদের গুণাবলির পরিবর্তন ঘটিয়ে উৎকর্ষ সাধন করেছে । মানব কল্যানে সুপ্রজননবিদ্যার ব্যবহারিক প্রয়ােগ বা জেনেটিক্স এর গুরুত্ব গুলি হল─
( i ) সংকরায়ণ পদ্ধতির মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল ধান ( যেমন — জয়া , IR8 , IR36 , রত্না প্রভৃতি ) , গম ( যেমন — সােনালিকা , কল্যাণসােনা , জনক ) সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে ।
( ii ) কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে বেশি ডিম উৎপাদনকারী মুরগি ( যেমন – লেগহর্ন , মিনকা প্রভৃতি ) , হাঁস ( যেমন রানার , খাঁকি ক্যাম্পবেল প্রভৃতি ) , অধিক মাংস উৎপাদনকারী মুরগি ( ব্রয়লার ) এবং বেশি পরিমাণ দুগ্ধ প্রদানকারী গাভী ( যেমন— জার্সী , শাহীওয়াল প্রভৃতি ) সৃষ্টি করা হয়েছে ।
( iii ) উদ্যানবিদ্যায় সুপ্রজননবিদ্যার আধুনিক জ্ঞান প্রয়ােগে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যযুক্ত উন্নতমানের ফুল-ফল সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে ।
( iv ) সুপ্রজনন বিদ্যা আবিষ্কারের ফলে হিমােফিলিয়া , বর্ণান্ধতা প্রভৃতি মানুষের বংশগত রােগ সম্পর্কে জানা গেছে ।